সাকিবের চোটের কারণ জানতে চান বিসিবি সভাপতিও
৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:০৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
এশিয়া কাপে সাকিব আল হাসানকে কেন খেলানো হয়েছিল, সেটি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই তুমুল আলোড়ন। সাকিবের আঙুলে কীভাবে পুঁজ জমে গেল, সংক্রমণ কীভাবে ছড়াল সেটাও প্রশ্ন। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) নিজ বাসভবনে বিসিবি সভাপতি দাবি করলেন, সাকিবকে কোনোভাবেই জোর করে খেলানো হয়নি। আর এই অবস্থার জন্য ফিজিওর দায় কতটা, বা কীভাবে এই অবস্থা হলো, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের আগেই সাকিবের ব্যথা বেড়ে যায়। ওই ম্যাচ খেলতে পারেননি শেষ পর্যন্ত, চলে আসতে হয়েছে দেশে। নাজমুল হাসান পাপন জানালেন সেদিনের কথা, ‘যখন নাকি পাকিস্তানের সাথে খেলার আগের দিন আমি চলে আসি মাঠ থেকে। হোটেলে দেখি সাকিব আর কয়েকজন বসা। ওখানে হাতটা দেখেছি, দেখি ফুলে গেছে। কথায় কথায় বলছে, সে খেলতে পারবে না। কয়েকজন পাশ থেকে বলল, এটা সেমিফাইনাল, খেলতে হবে। আমি তখন বলেছি, তুমি এখন এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাও। তার সাথে ওখানটায় আমার শেষ কথা হলো। আমি জানতাম সে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। সে ভয় পাচ্ছে, পুঁজ বের হবে। তোমার এই অবস্থা থাকলে, সেটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।’
এরপর তার সঙ্গে কথা হলো, সে বলল ভালো আছে। তাকে হাসপাতালে দেখতে গেলাম। ঔষধের কী চেঞ্জ হবে, এসব নিয়েও কথা বললাম। আমি তো এই লাইনে অনেক বছর থেকে আছি। তখন আমাকে বলল, আমি আগে লন্ডন হয়ে আমেরিকায় যাব। পরদিন তাকে রিলিজ করবে। রাতে গিয়ে আমাকে বলল আমি বাসায় চলে আসছি।’
তার পরের কাহিনি শুনুন বিসিবি সভাপতির মুখে, ‘হাসপাতালে কথা হয়েছিল, সে আগে লন্ডন যাবে। এরপর ঠিক করবে ওখানে করবে নাকি আমেরিকায় করবে। এরপর আমি ইস্তাম্বুলে গিয়ে শুনলাম সে অস্ট্রেলিয়া গেছে। কাল ওর সাথে কথা হয়েছে। বলল, আজকে রিপোর্ট পাবে। যদি সে খেলতে গিয়ে ব্যথা পেত তাহলে বুঝতাম। তাহলে এরকম হলো কী করে? হঠাৎ করে হাতে এমন পুঁজ হলো কী করে। এটা আমাদের কাছে বিরাট প্রশ্ন। তাকে আমি যেটা বললাম, তিন মাস রেস্ট। অপারেশনের কথা জানতে চাইলাম, আমাকে সবাই বলছে অপারেশন করে লাভ নাই। আমাকেও সে বলল, অপারেশন করে লাভ নেই, লাগবে না। এখনো ওই জায়গায় আছে। এখনো ইনফেকশন কন্ট্রোলে আছে। এটা সাকিবের কথা, ডাক্তারের সাথে কথা বলি নাই। এর মধ্যে আমি দেবাশীষকে ফোন করি। আমরা সবাই এটা নিয়ে বেশ অবাক।’
বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন, অবস্থার এতোটা অবনতি হলো কী করে, ‘এক দিনের মধ্যে এত পুঁজ, এত সিরিয়াস হলে কী করে। ওদের সাথে কথা বলে বুঝলাম, ইনফেকশন ওদের পক্ষে বোঝা কঠিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ইনজেকশন দিয়েছে, এখন ওই ইনজেকশনের জন্য হলো কি না জানি না। আগে থেকে একটু থাকলে স্টেরয়ডের জন্য বাড়তে পারে। কিন্তু সেটাও বলা যাচ্ছে না। সে কমপ্লেইন করে নাই। আসল পরিস্থিতিটা আমরা জানি না, জানার চেষ্টা করছি।’
কিন্তু উত্তরটা তো ফিজিওই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবেন। নাজমুল হাসান বলেন, এখনো ফিজিওর সাথে তাঁর সেভাবে কথা হয়নি, ‘আমি এই প্রশ্নটা করেছি, আমি শুধু সাকিবের কথা শুনেছি। ফিজিওর সাথে কথা হয়নি। একটা জিনিস আমাকে বলা হয়েছে, হাতের ইনফেকশন এভাবে বোঝার উপায় নাই। যখন নাকি ইনজেকশন দেয় তখন ইনফেকশন কি না বলার উপায় নেই।’
সারাবাংলা/এএম/এসএন