তিন ত্রয়ীর অভাববোধ করছেন পিএসজি কোচ
৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:২৪
চলমান লিগ ওয়ানে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্ত্রাসবুরের বিপক্ষে হোঁচট খেয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে। তাতে, শিরোপা জয়ের পথে থাকা পিএসজির কোচ টমাস টুখেল মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিশ্রামে থাকা আক্রমণভাগের তিন ত্রয়ীকে ফিরে পেতে চান।
গত ডিসেম্বরে লিগের প্রথম পর্বে স্ত্রাসবুরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল পিএসজি। ফিরতি দেখায় চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না ব্রাজিল তারকা নেইমার, আর্জেন্টাইন তারকা ডি মারিয়া আর উরুগুয়ের তারকা এডিনসন কাভানি। গোল পাননি আক্রমণভাগের ফরাসি তারকা কাইলিয়ান এমবাপে।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ২৬তম মিনিটে নুনো দা কস্তার গোলে সমতায় ফেরে অতিথিরা। ৩৮তম মিনিটে ফরাসি মিডফিল্ডার অ্যান্থনির গোলে লিড নেয় স্ত্রাসবুর। বিরতির আগে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক পিএসজি।
বিরতির পর ৮২তম মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি। টমাস টুখেলের দলকে পয়েন্ট খোয়ানো থেকে বাঁচাতে গোল করেন জার্মান ডিফেন্ডার থিলো কেরার। ২-২ গোলের সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।
জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেলে শিরোপা নিশ্চিত করতে পারতো পিএসজি। সেটা হয়নি। কোচ টুখেল ম্যাচ শেষে কিছুটা হতাশ হয়ে জানান, খুব শিগগিরই দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়দের প্রয়োজন। আমি নেইমার, কাভানি, ডি মারিয়াদের ছাড়া মাঠে নামতে চাই না। আক্রমণভাগের এই তিন খেলোয়াড়ই ম্যাচের মোড় নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে আনতে পারে। পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে তাদের খুবই প্রয়োজন আমার।
৩০ ম্যাচে ২৬ জয় ও তিন ড্রয়ে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিল। ২০ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ধরাছোঁয়ার বাইরেই আছে পিএসজি। তবে, শিরোপা নিশ্চিত করতে আরেকটু অপেক্ষা বাড়লো ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
টুখেল আরও যোগ করেন, প্রতি ম্যাচে এমবাপে স্কোর করতে পারবে না। সে দুর্দান্ত খেলোয়াড়। কিন্তু, আক্রমণভাগের সেরা অস্ত্র না থাকায় এমবাপের একার উপর চাপ তৈরি হচ্ছে। শেষ তিন ম্যাচে সে চাপের মধ্যে থেকে খেলেছে। শুধু তাকে দিয়ে আক্রমণ রচনা করাটা সঠিক কোনো পথ নয়। বদলি নামা খেলোয়াড়দের দিয়ে স্কোর করানো সব সময় কঠিন কাজ। এটা আমার পরিকল্পনাতে নেই। তারপরও বলবো ইনজুরির সুযোগ নিয়ে যারা মাঠে সুযোগ পেয়েছিল তারা দারুণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে এরিক মাক্সিম চুপো এবং থিলো কেরার নিজেদের কাজটা করতে সফল হয়েছে।
সারাবাংলা/এমআরপি
** পরিসংখ্যানে বার্সা-ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়ন্স লিগ