প্রোটিয়া বধ, এরপর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে…
১৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৬
ভাবুন তো, বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সব সময়ের শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ৩০ মে উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে নাকানি-চুবানি খাওয়া প্রোটিয়ারা ২ জুন মাশরাফিদের কাছেও পাত্তা পেল না! টানা দুই হারের নির্মম বেদনায় নীল হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মাঠ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর স্টিভ রোডস শিষ্যরা ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটছেন প্রথম জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে।
৫ জুন, সেই ভেন্যু, কেনিংটন ওভাল, আবার গর্জে উঠলো টাইগাররা। ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী’-মন্ত্রে দীক্ষিত লড়াকু লাল সবুজের দল নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গেল সত্যি, কিন্তু হলো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এরপর ৮ জুন, কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে তৃতীয় ম্যাচেও হার। স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গেল ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টরা।
কিন্তু তাতে কি? এক জয় ও চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের পর এক ম্যাচ হারলেও টাইগাররা আত্মবিশ্বাসে টইটুম্বুর হয়ে মোকাবেলা করবে বাকি ৬ প্রতিপক্ষকে। সেই আত্মবিশ্বাসের আগুনে জ্বলে পুড়ে খাঁক হয়ে যাবে প্রতিপক্ষদের অনেকেই। তাতে করে প্রথমবারের মতো সাকিব, তামিমদের বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের পথ প্রশস্ত হবে।
ঠিক এভাবেই আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ এর পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সিনিয়র এক সদস্য।
তার ভাষ্য মতে, ‘আমরা প্রথম ম্যাচটি দ. আফ্রিকার বিপক্ষে জিতবো। দ্বিতীয় ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। হয়তো হারবো। তবে জিততেও পারি। আর তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারব। তাতে সমস্যা নেই। প্রথম তিন ম্যাচের ১টিতে জিতলেই যথেষ্ট। এটা পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে।’
আর যদি ওই তিন ম্যাচের একটিতেও জিততে না পারেন? সারাবাংলার করা এমন প্রশ্নে অভিজ্ঞ ওই টাইগার সদস্যের জবাব, ‘তাহলে আমরা বিশ্বকাপ থেকেই আউট। প্রথম তিন ম্যাচের একটিতেও না জিতলে আমরা মানসিকভাবে ডাউন থাকব। এতে করে পরের ৬ ম্যাচ জেতা কঠিন হয়ে যাবে। তখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতবো কী না সন্দেহ আছে।’
অবশ্য প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমি ফাইনালের প্রবল সম্ভাবনাই দেখছেন। গত ১৬ এপ্রিল মিরপুর শের-ই-বাংলার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর আত্মবিশ্বাসে ভরা কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘এক থেকে চারের মধ্যে যাওয়ার প্রত্যাশা থাকবে সবসময়। আর আমি মনে করি এখন যে অভিজ্ঞ দল ওয়ানডের…আমরা কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে যতগুলো ওয়ানডে খেলেছি তার মধ্যে ৫১ শতাংশ ম্যাচ জিতেছি। এটা কিন্তু একটা প্লাস পয়েন্ট। এই অভিজ্ঞতার কারণেই আমাদের প্রত্যাশা বেশি। আমি মনে করি এই দলের অবশ্যই সামর্থ্য আছে এক থেকে চারের মধ্যে থাকার।’
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি