মোহামেডানের সহজ জয়
২১ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৩৯
সুপার লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে হারাতে মোহামেডানের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৭৫ রান। যা ছুঁতে তাদের উইকেট হারাতে হয়েছে ৩টি। ওভার বাকি ছিল আরও ১৫টি। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় জয় ধরা দিয়েছে সাদা-কালো শিবিরে।
রোববার (২১ এপ্রিল) মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক মোহামেডানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায়। দলীয় ৪৯ রানেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যান। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ১০, রুবেল মিয়া ১৪, টপ অর্ডারের আল-আমিন ৪, নাইম হাসান ৪ ও মিডল অর্ডার নাজমুল হক মিলন নিজের ইসিংসের ফুলস্টপ টানেন মাত্র ৩ রানে। মূলত এখানেই প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের সলিল সমাধি তৈরি হয়ে যায়।
ভাগ্যিস অলোক কাপালি ৪৩ রানের ইসিংটি খেলেছিলেন। তা না হলে হয়তো ১শ রানের নিচেই প্রাইম ব্যাংককে গুটিয়ে যেতে হত। তবে সেটা আর হয়নি। ৪২.২ ওভারে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে আসে ১৭৪ রান। লোয়ার মিডল অর্ডারে নাহিদুল ইসলাম ২৬ এবং দুই টেল এন্ডার মনির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক করেছেন ২২ রান।
বল হাতে সাদা-কালোদের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন সাকলাইন সজিব। একাই তুলে নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের ৪ ব্যাটসম্যানকে। দাপুটে বোলিংয়ে তার পরেই আছেন সোহাগ গাজী। নিয়েছেন ৩ উইকেট। রাহাতুল ফেরদৌস ২টি ও শফিউল ইসলাম নিয়েছেন ১টি উইকেট।
১৭৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা আহামরি ভালো করতে পারেনি মোহামেডানও। ব্যক্তিগত ৩২ ও দলীয় ৪২ রানে নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে ক্লিন বোল্ড হয়েছেন ওপেনার লিটন দাস। দ্বিতীয় উইকেটে ৩১ রানের জুটির পর আব্দুর রাজ্জাকের স্পিন যাদুতে ব্যক্তিগত ১১ রানে এলবি হয়ে ফিরে যান ইরফান শুক্কুর।
পরের উইকেট জুটিও থিতু হতে পারেনি। ৪৬ রান এনে দিয়ে নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে বদলি ফিল্ডার সালমান হোসেইনের তালুবন্দি হন ওপেনার আব্দুল মজিদ। এর আগে তিনি সংগ্রহ করেছেন ৫৪ রান। এরপর অবশ্য আর কোনো বিপর্যয় নয়। রকিবুল হাসান ও তুষার ইমরানের দৃঢ় ব্যাটে ১৭৫ রান ছুঁয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মোহামেডান। মাঠ ছাড়ে ৭ উইকেটের বড় জয়ে। রকিবুল ৫২ ও তুষার ইমরান অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সাকলাইন সজিব।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি
** অঙ্কে কাঁচা মোস্তাফিজ মেলাতে চান বড় হিসেব!