Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমার ব্যাটিং আমার কাছেই আছে: সৌম্য


২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:৩৮

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমের শুরুতে তার ব্যাটে রান বন্যা দেখা যায়নি। ধুন্ধুমার ব্যাটে প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন আপ গুড়িয়ে দিতেও দেখা যায়নি। টানা ১১টি ম্যাচে ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই। ব্যক্তিগত ৪৩ রান ছিল সবেধন নীলমনি। নিন্দুকেরা দুয়ো ধ্বনি তুললেন। প্রশ্নবিদ্ধ হলো তার বিশ্বকাপে ডাক পাওয়া।

ব্যাটিংয়ে অব্যাহত এমন জীর্ণ-শীর্ণ দশায় হঠাৎ করেই ৯০ ডিগ্রী টার্ণ নিলেন। রানের ঝড় তুলে টানা দুই ম্যাচে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। শেষটিতে মেরে দিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই সৌম্য সরকারের কথাই বলছি। হ্যাঁ, সেই সৌম্য নিজেই জানালেন তার ব্যাটিং তাকে ছেড়ে নির্বাসনে যায়নি। তার কাছেই আছে।

বিজ্ঞাপন

৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘আমার ব্যাটিং আমার কাছেই আছে। আগের ম্যাচগুলোয় রান করিনি। এখন করছি। আক্ষেপ হচ্ছিল, শুরুতে ৩০–৪০ করে আউট হচ্ছিলাম। মাঝে কিছু ম্যাচ ১, ২, ০ রানে আউট হয়েছি। পরে মনে হলো ১, ২, ০ রানের চেয়ে ৩০–৪০ ভালো, ওটাতে আগে ফিরতে হবে। যখন ৩০–৪০ রান করেছি, তখন মনে হয়েছে আজ এই রানে ফেরা যাবে না। আজ ৫০ করতেই হবে। মাঠেই পরিকল্পনা করেছি। আগ থেকেই পরিকল্পনা করলেও সব কিছু ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আজ চিন্তা করছিলাম উইকেট ভালো, সুযোগ আছে রানটা বড় করার।’

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ৩১৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন সৌম্য। তবে উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হওয়ায় তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগেনি বলে জানান এই আবাহনী ম্যান, ‘প্রথমে একটু নার্ভাস ছিলাম, কারণ আমাদের ৩০০ প্লাস টার্গেট। ৩০০ রানের বেশি তাড়া করা সব সময়ই কঠিন। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার আগে ভাবছিলাম আগের ইনিংসে ৩০০ হয়েছে, রূপগঞ্জ একটু তাড়াহুড়ো করেছিল। পাওয়ার প্লেতে উইকেট যাওয়াতে সেভাবে তাড়া করতে পারেনি। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো। আমরা পরিকল্পনা করছিলাম খুব স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলব। চেষ্টা করেছি বড় জুটি করতে যেন ২০ ওভারের মধ্যে এমন কিছু করি যাতে পরের ৩০ ওভার সহজ হয়।’

বিজ্ঞাপন

১৫৩ বলে সৌম্যর রেকর্ড অপরাজিত ২০৮ রানের ইনিংসে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ৩১৮ রানের দূর্গম লক্ষ্যও আবাহনী ছুঁয়ে ফেলে। তাও মাত্র ১ উইকেটের খরচায় এবং বল বাকি ছিল আরো ১৭টি। তাতে ৯ উইকেটের বড় জয় ধরা দেয় কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনদের শিবিরে। সৌম্যর ইনিংসে ছিল ১৪টি চার আর রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৬টি ছক্কার মার। আর এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০তম শিরোপা ঘরে তুললো অপ্রতিরোধ্য আবাহনী লিমিটেড। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তৃতীয় ও টানা দ্বিতীয়। সৌম্যর পাগলাটে ব্যাটিংয়ের দিনে হেসেছে জহুরুল ইসলাম অমির ব্যাটও। ১২৮ বলে ব্যক্তিগত ১০০ রানে ফিরে গেছেন ইমতিয়াজের শিকার হয়ে।

সারাবাংলা/এমআরএফ/এমআরপি

** সৌম্যর পাগলাটে ব্যাটে শিরোপার হাসি আবাহনীর
** সৌম্যর ডাবলে তছনছ রেকর্ড বইয়ের পাতা
** জুটির রেকর্ডেও সেরা সৌম্য

আবাহনী চ্যাম্পিয়ন ডিপিএল ২০১৯ সৌম্য সরকার

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর