ফাইনালে লাওস, সেমিতে নেই কৃষ্ণা-স্বপ্না
২৯ এপ্রিল ২০১৯ ২০:৪৮
কিরগিজস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠেছে লাওস। প্রথম সেমি ফাইনালে কিরগিজদের ৭-১ ব্যবধানে হারিয়েছে লাওস। এদিকে, দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে আগামীকাল মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়া। এই ম্যাচে চোটের কারণে থাকছেন না টাইগ্রেসদের দুই সেরা খেলোয়াড় সিরাত জাহান স্বপ্না এবং কৃষ্ণা রানী সরকার।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার (২৯ এপ্রিল) পের হ্যাটট্রিকে ৭-১ গোলে জিতেছে লাওস। এ নিয়ে টানা তিন জয় পেল দলটি। এ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে মঙ্গোলিয়াকে ৫-০ ও তাজিকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাওস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মঙ্গোলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা-স্বপ্নাহীন ম্যাচে ফাইনালে চোখ রাখছেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন।
স্বপ্না-কৃষ্ণা দুজনই হাঁটুর চোটে ছিটকে গেছেন। ডান পায়ের হাঁটুতে চোট ফরোয়ার্ড স্বপ্নার। উইঙ্গার কৃষ্ণা রানীর চোট বাম হাঁটুতে। দুজনই গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে কিরগিজস্তানের বিপক্ষে খেলেছেন। ওই ম্যাচে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি স্বপ্না এবং কৃষ্ণা শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান। তবে স্বপ্না-কৃষ্ণাকে পুরো সময় না পেলেও কিরগিজস্তানের বিপক্ষে ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় তুলে নেয় ছোটনের দল।
সেমিতে তাদের দুজন না থাকায় কিছুটা হতাশ বাংলাদেশের কোচ। তবে রিজার্ভ বেঞ্চে খেলোয়াড় থাকায় উদ্বিগ্ন নন ছোটন।
গ্রুপপর্বে টানা দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পা রাখে বাংলাশে। অপরদিকে লাওসের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও; তাজিকিস্তানকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পায় মঙ্গোলিয়া।
গ্রুপপর্বে টানা দুই ম্যাচ জিতলেও সেখানে গোল ব্যবধান কম ছিল বাংলাদেশের। ফিনিশিং দুর্বলতায় গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ছোটনের দলের। সেমিফাইনাল ম্যাচে তাই এ দিকটায় সতর্ক দৃষ্টি কোচের। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে ছোটন জানান, ‘আমরা অ্যাটাকিং ফুটবলই খেলব, যেটা আমরা খেলে আসছি। ফরমেশনও ওটাই থাকবে। শুধু আমরা উদ্বিগ্ন ফিনিশিং নিয়ে। কারণ আগের ম্যাচে ফিনিশিংটা ভালো না হওয়ায় বেশি গোল করতে পারিনি। আমরা উপলব্ধি করতে পারছি যে, এখানে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমি বলেন, ‘তাদের খেলা দেখে ধারণা নেওয়াটাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। আমরা সেটা নিয়েছি। তাদের সম্পর্কে যে ধারণা পেয়েছেন স্যাররা, সেটা আমাদের জানানো হয়েছে। সেটা প্রয়োগ করতে পারলে আমরা বড় ব্যবধানে জিততে পারব।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্বে খেলার অভিজ্ঞতা নেই মঙ্গোলিয়ার। তবে দলটির কোচ কাওয়ামাতো নাওকো মালদ্বীপের কোচ থাকাকালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাগআউটে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই সেমিফাইনালে কাজে লাগাবেন নাওকো। বাংলাদেশের প্রসঙ্গে মঙ্গোলিয়ার কোচ জানান, ‘বাংলাদেশের আক্রমণভাগ শক্তিশালী। তারা দুই দিক দিয়ে আক্রমণ করে। আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের আক্রমণগুলো নষ্ট করা। তাদের সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। মালদ্বীপের কোচ থাকার সময় তাদের বিপক্ষে খেলেছিলাম। আমরা হেরেছিলাম। তবে এখানে প্রতিশোধ বলে কিছু নেই।’
নাওকো আরও যোগ করেন, ‘বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়ার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আশাকরি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।’
মঙ্গোলিয়ার অধিনায়ক উন্দ্রালি বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখলেও নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি