এমন ম্যাচের আগে-পরে কী বললেন দুই কোচ
৮ মে ২০১৯ ১৩:৩১
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে হলে লিভারপুলকে একপ্রকার অসম্ভবকে সম্ভব করতে হতো। বার্সেলোনার মাঠ থেকে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরে আসা জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে, লিখেছে রূপকথার গল্প। ফাইনালে উঠতে হলে বার্সাকে নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে হারাতে হবে ৪-০ গোলে। সেটি করেছে গতবারও ফাইনালে উঠা লিভারপুল। এই জয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে ক্লপ শিষ্যরা।
আর এই পরাজয়ে বার্সা নিশ্চিতভাবেই রোমার রূপকথার কথা মনে করবে। গত মৌসুমে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে এগিয়ে থেকেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল কাতালানদের।
খুব বড় আশাবাদীরাও ভাবেননি অ্যাওয়ে ম্যাচ ৩-০ গোলে হারার পর ঘরের মাঠে মেসি-সুয়ারেজ-কুতিনহোদের বার্সাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে। এরপর লিভারপুলের জার্সিতে খেলতে পারেননি দলের দুই সেরা অস্ত্র মোহামেদ সালাহ আর রবার্তো ফিরমিনহো।
এমন জয়ের আগে কী বলেছিলেন দুই দলের কোচ, আর এমন ম্যাচের পর কী বললেন দুই দলের কোচ? একটু চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
ম্যাচের আগে লিভারপুল কোচ জার্গেন ক্লপ:
বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের দুজনকে পাচ্ছি না। আর ৯০ মিনিটের মধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ৪ গোল করতে হবে। পারলে সেটা হবে অসাধারণ ব্যাপার।
ম্যাচের আগে বার্সেলোনা কোচ আরনেস্টো ভালভারদে:
লিভারপুল এমন একটি দল, যারা প্রতিপক্ষকে ভোগাতে পারে। আর গত বছর কোয়ার্টার ফাইনালে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও আমরা বাদ পড়েছিলাম।
আরও একটি বিষয় বলে রাখা ভালো, সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে হারের আগে বার্সা তাদের খেলা সর্বশেষ ২২ ম্যাচের মাত্র ১টিতেই হেরেছিল। সেটি গত মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রোমার কাছে। রোমা সেবার লিখেছিল রূপকথা, ৩-০ গোলের ওই হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছিল বার্সা।
ম্যাচের পর লিভারপুল কোচ:
বার্সার বিপক্ষে জেতা কঠিন; কিন্তু কোনো গোল হজম না করে জেতা… আমি জানি না ওরা (শিষ্যরা) এটা কিভাবে করল। পৃথিবীতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, কিন্তু সবাই একসঙ্গে মিলে এমন আবেগময় আবহ তৈরি করা বিশেষ কিছু। সব কৃতিত্ব আমার শিষ্যদের। তারা দেখিয়েছে ফুটবলেও সব সম্ভব। ম্যাচের আগে আমি ছেলেদের বলেছিলাম, আমাদের একটা সুযোগ আছে। আমি নিশ্চিত ম্যাচের আগে আমাদের পক্ষে এক পেনি বাজি ধরার লোকও ছিল না।
ম্যাচের পর বার্সার কোচ:
এটা আমাদের এবং আমাদের সমর্থকদের জন্য ভয়ঙ্কর ফল। এটা আসলেই ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক। আমি জানি না এই পরাজয় কিভাবে আমাকে প্রভাবিত করবে। কোচকেই এর দায় নিতে হবে। ভক্ত-সমর্থকদের মতো এটা আমাদের জন্যও খুবই পীড়াদায়ক। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমনটা হলো। লিভারপুলের চতুর্থ গোলটা আমাকে অবাক করেছে। আমার ছেলেরা বুঝতে পারেনি তাদের কৌশল কী ছিল। তারা দ্রুত দুটি গোল করে ম্যাচ অনেকটা বের করে নেয়। সব কৃতিত্ব লিভারপুলের।
সারাবাংলা/এমআরপি