থামলো আয়াক্স রূপকথা, প্রথমবার ফাইনালে টটেনহ্যাম
৯ মে ২০১৯ ০৪:৩৪
বার্সেলোনাকে অবিশ্বাস্যভাবে ৪-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠেছে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুল। বিশ্ব ফুটবলে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি অবিশ্বাস্য ম্যাচ দেখা গেল। আকাশচুম্বী আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা আরেক ইংলিশ জায়ান্ট টটেনহ্যাম ডাচ ক্লাব আয়াক্সের রূপকথা থামিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে জিতেছে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ঘরের মাঠের প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরেছিল টটেনহ্যাম। ফিরতি লেগে আয়াক্সকে ৩-২ গোলে হারালে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ৩-৩। আয়াক্সের মাঠে বেশি গোল দেওয়ার সুবিধা নিয়ে টটেনহ্যাম চলে যায় ফাইনালে। যেখানে তাদের সঙ্গী আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দেখবে অল-ইংলিশ ফাইনাল।
অ্যামস্টারডাম অ্যারেনায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিক আয়াক্স। ডি লিটের গোলে লিড নেয় ডাচ ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে চতুর্থ টিনেজার হিসেবে গোল করেন ১৯ বছর বয়সী ডি লিট। কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি পর্বে জুভেন্টাসের মাঠে দলের জয়সূচক গোলটিও করেছিলেন ডাচ এই তরুণ ডিফেন্ডার।
৩৫ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডাচ মিডফিল্ডার হাকিম জায়িচ। ততক্ষণে স্বাগতিক শিবিরে বইছে ফাইনালের টিকিট কাটার উল্লাস। দুই লেগে তখন ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসকে বিদায় করে দেওয়া আয়াক্স। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আয়াক্স তখন আরেকটি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।
তবে, তখনও হাল না ছাড়ার পণ করে বসে থাকে টটেনহ্যাম। এক লুকাস মোউরা কাছেই হোঁচট খেতে হয় আয়াক্সকে। ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডারের হ্যাটট্রিকে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ইতিহাস লেখে ইংলিশ ক্লাবটি। ম্যাচের ৫৫, ৫৯ আর ৯৬ মিনিটের মাথায় তিন-তিনটি গোল করেন মোউরা। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টটেনহ্যাম পৌঁছে যায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।
আগামী ১ জুন ফাইনালে টটেনহ্যামের প্রতিপক্ষ গতবারের ফাইনালিস্ট লিভারপুল। মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপোলিতানোর শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চ তাই হয়ে গেল ‘অল ইংলিশ’ ফাইনাল।
সারাবাংলা/এমআরপি