বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (আন্দ্রে রাসেল)
২৬ মে ২০১৯ ২২:০৫
চাপের মুখে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যখন ভেঙে পড়ে। সে মুহূর্তে চাপ সামলানোর পর ঝড়ো গতিতে রান তুলতে ওস্তাদ উসাইন বোল্টের শহরে জন্মগ্রহণ করা আন্দ্রে রাসেল। ১৯৮৮ সালের ২৯ এপ্রিল জামাইকার কিংসটন শহরে জন্মগ্রহণ করেন উইন্ডিজের এই আক্রমণাত্মক অলরাউন্ডার।
কজন ক্রিকেটারের বিশ্বকাপের মতো আসরে অভিষেকের সৌভাগ্য হয়? খুব বেশি হয়তো নয়! তবে আন্দ্রে রাসেল সে তালিকায় থাকা একজন। ২০১১ সালে ভারত-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটে তার।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের মোহালিতে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু। তবে এর আগে ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে খেলেছিলেন তিনি। আর টেস্টে খেলা সে ম্যাচটিই আন্দ্রে রাসেলের ক্যারিয়ারে ক্রিকেটের সব থেকে ঐতিহ্যবাহী সংস্করণে একমাত্র ম্যাচ। এরপরে আর টেস্টে খেলার সুযোগ হয়নি।
বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর খেলেছেন ৫২টি ওডিআই ম্যাচ। আর এ সময়ে রাসেল সাড়ে ২৮ গড়ে করছেন ৯৯৮ রান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত অপরাজিত ৯২ রান। আর টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকের পরে খেলেছেন ৪৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৭ রান আর প্রায় ১৮ গড়ে সর্বমোট করেছেন ৪৬৫ রান।
ব্যাটসম্যান রাসেলের পাশাপাশি বোলার হিসেবেও দলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ডানহাতি এই মিডিয়াম পেসার। ইনিংসের শেষ দিকে কিপটে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে চাপ ফেলতে ওস্তাদ এই ক্যারিবিয়ান।
ওডিআই ক্রিকেটে ৫.৮৬ ইকোনোমিতে ৫২ ম্যাচে রাসেলের সংগ্রহ ৬৫টি উইকেট। যেখানে সেরা বোলিং ফিগার ৩৫ রান খরচে ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৯.১৫ ইকোনোমিতে ৪৭ ম্যাচে নিয়েছেন ২৫টি উইকেট। ক্রিকেটের সর্বশেষ সংস্করণে তার সেরা বোলিং ইনিংস ১০ রান খরচে ২ উইকেট।
যে সম্ভবনা দেখিয়ে উইন্ডিজ দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন রাসেল তা বেশ ফিকে হয়ে গিয়েছিল। তবে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট দিয়ে আবারও নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। টেস্ট কিংবা ওয়ানডে নয়, এই ক্যারিবিয়ানের সেরা ঝলকের দেখা মেলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেটের সব থেকে বড় আসর আইপিএলে মাঠ মাতিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছর পার করতে না করতেই দুইবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠেছিল রাসেলের মাথায়। তবে তা একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়। ক্রিকেটের সব থেকে ক্ষুদ্রতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে। দুই বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রেখেছিলেন সামনে থেকেই। দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ের দুই আসরেই। আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই বিধ্বংসী ফর্ম ধরে রেখে ইংল্যান্ডে ওডিআই বিশ্বকাপে অংশ নিতে প্রস্তুত এই ক্যারিবিয়ান। নিজের দিনে কোনো বোলারকেই সমীহ করেন না তিনি। আর একইভাবে কোনো ব্যাটসম্যানকেই ভয় করেন না যখন এগিয়ে যান বল হাতে।
উইন্ডিজ ক্রিকেটের সোনালী সময় আবার ফিরবে কিনা তা কেউ জানে না। তবে ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে এবারে বিশ্বকাপে ঘটতে পারে যেকোন ধরণের অঘটন। তরুণ এবং অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গড়া উইন্ডিজ দলটি যদি বিশ্বকাপের ট্রফিটা তৃতীয়বারের মতো উঁচু করে ধরে তাতেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই। আর বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে উইন্ডিজ দলের অন্যতম ভরসা হয়েই দলে যুক্ত হয়েছেন আন্দ্রে রাসেল।
সারাবাংলা/এসএস/এমআরপি
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (জেপি ডুমিনি)
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (বেন স্টোকস)
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (শোয়েব মালিক)
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (হারদিক পান্ডিয়া)
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (থিসারা পেরেরা)
** বিশ্বকাপে ব্যাট-বলে সমান তালে লড়বে যারা (সাকিব)
অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল উইন্ডিজ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বিশ্বকাপ স্পেশাল