ফুটবলকে বিদায় জানালেন তোরেস
২১ জুন ২০১৯ ১৪:৪৯
স্পেনের হয়ে জিতেছেন সম্ভাব্য সব কিছুই। স্পেনের আক্রমণ ভাগকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জিতিয়েছেন ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো। লিভারপুল চেলসি মাতিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে যোগ দেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে। শুক্রবার (২১ জুন) টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্পেনের এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
১৮ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন জাপানিজ ক্লাব সাগান তসু’র জার্সি উঠিয়ে রেখে। ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন জাপানে। সেখানে এক মৌসুম কাটিয়ে ফুটবল বুট তুলে রাখলেন তোরেস।
অ্যাতলেটিকোর জার্সি গায়ে চড়িয়ে ২০০১ সালে ক্লাব ফুটবলে যাত্রা শুরু তোরেসের। এরপর কেবল সামনে এগিয়ে চলা। ক্যারিয়ারের সব থেকে বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন অ্যাতলেটিকোর জার্সি পরেই। এরপর ২০০৭ সালে পাড়ি জমান ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে। লিভারপুলের হয়ে ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত চার মৌসুমে ১০৫টি ম্যাচ খেলেন। আর নামের পাশে যোগ করেন ৬৫টি গোল। এর আগে অ্যাতলেটিকোর হয়ে ২১৪ ম্যাচে করেছেন ৮২টি গোল।
২০১১ সালে লিভারপুল অধ্যয়ের সমাপ্তি টেনে যোগ দেন লন্ডনের ক্লাব চেলসিতে। সেখানে খেলেছেন ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এই চার মৌসুমে ব্লুজদের হয়ে তোরেস ১১০ ম্যাচে ২০টি গোল করেছেন। চার বছর পর পাড়ি জমান ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানে। তবে সে সময় মিলানের সাফল্যের সুর্যটা ডুবতে শুরু করেছিল।
তোরেস স্পেনের টানা দুই ইউরো এবং একটি বিশ্বকাপ জয়ে দলের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। ২০০৮ সালের ইউরোর ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন তোরেস। আর ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচও নির্বাচিত হন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়েও দলে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
ফিফার সেরা দলে দুইবার জায়গা করে নিয়েছিলেন তোরেস। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে ফিফার সেরা একাদশের অন্যতম ফুটবলার ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০০৮ সালের ব্যালন ডি অরের তৃতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: উরুগুয়েকে আটকে দিল জাপান
সারাবাংলা/এসএস