বিধ্বংসী পেসারদের বাউন্সারে ব্যাটসম্যানরা ঘায়েল হচ্ছেন, তা নতুন কিছু নয়। উইন্ডিজসের বিধ্বংসী পেসারদের কিংবা তারপর শোয়েব আখতার, ব্রেট লি’দের মতো গতি তারকাদের গতিতেও ঘায়েল হয়েছেন অনেক ব্যাটসম্যান। আর বর্তমানে সময়ে জোফরা আর্চার কিংবা ট্রেন্ট বোল্ট আর মিচেল স্টার্কের বলেও ব্যাটসম্যানরা বড়তি সুরক্ষা ব্যবহার করেন নিজেদের রক্ষার্থে।
মাথায় বলের আঘাত লেগে গত কয়েক বছরে বেশ বাজে অবস্থার মধ্যে পড়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। আর মাথায় বলের আঘাত পেয়ে তো প্রাণও হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। সাম্প্রতি চলমান অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে জোফরা আর্চারের বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল স্টিভ স্মিথকে। আর মাথার ইনজুরিতে পড়ে ছিটকেও গেছেন সিরিজের তৃতীয় টেস্ট থেকেও।
সামনে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর। এই সফরে ভারতীয়রা ইংরেজদের মাটিতে খেলবেন পাঁচটি টেস্ট। আর তাই তো আগে ভাগেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সতর্ক করে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে এবার আর কেবল হেলমেট ব্যবহার নিয়েই সতর্ক করেননি, সাথে সাথে জানিয়েছেন ‘নেক গার্ড’ (ঘাড়ে আঘাত প্রতিরোধী ক্রিকেট-সরঞ্জাম) ব্যবহার করার কথা। হেলমেট ব্যবহারের সাথে সাথে ‘নেক গার্ড’ ব্যবহার করার জন্য ইতিমধ্যে বেশ জোরাল দাবি উঠছে ক্রিকেট বিশ্বের বিভিন্ন মহল থেকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আইসিসি-র নতুন নিয়ম অধিনায়ক, কোচ ও তার সহকারীদের বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এমনকি হেলমেট এবং ‘নেক গার্ড’ ব্যবহারের কথাও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিখর ধওয়নের মতো কেউ কেউ এই সরঞ্জাম ব্যবহার করেন। কিন্তু আইসিসি তা বাধ্যতামূলক না করায় বোর্ড জোর করতে পারে না।’
‘নেক গার্ড’ ব্যবহারের জন্য ক্রিকেটের সাথে সংশ্লিষ্ট নানা মহলের থেকে দাবী জানানো হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে তা যেন একেবারেই আমলে নিচ্ছে না আইসিসি। আর এতে করে বাড়ছে মাথায় আঘাত পেয়ে ক্রিকেটারদের প্রাণনাশের ঝুকিও। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের প্রাক্তন ডাক্তার পিটার ব্রাকনার বলেছেন, ‘আরও সুরক্ষিত হেলমেট ও ‘নেক গার্ড’ বাধ্যতামূলক করা উচিত।’
আরও পড়ুন: চলে এসেছেন টাইগারদের দুই কোচ