অধিনায়কত্বে আপত্তি নেই মাহমুদউল্লাহর
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৭
একবার নয়, একাধিকবার সাকিব আল হাসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন টেস্টে নেতৃত্ব দিতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। এতে করে পারফরম্যান্স থেকে তার ফোকাস সরে যায়। অধিনায়কত্বের প্রস্তাবে তার আগের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও একই অবস্থানে। আর যাই হোক অধিনায়কত্ব আর নয়। তার ভাবখানা এমন-‘ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়।’ এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মুশফিকের কাছ থেকে যেভাবে বিসিবি নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিয়ে সাকিবকে দিল তাতে মুশফিক তো বটেই বোধ সম্পন্ন কোন মানুষ ওই পথ আর মাড়াবেন না।
তাহলে উপায় কী? তাছাড়া দলে আর আছেনই বা কে? সিনিয়রদের মধ্যে আছেন কেবল তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাশরাফি তো সেই কবে টেস্ট ছেড়েছেন।
এই মুহূর্তে টেস্ট নেতৃত্বে বিসিবির প্রস্তাবে ওপেনার তামিম ইকবাল কি করবেন সেটা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তার সাথে কখনও কথা হয়নি। তাই তার মনোভাবও আপাতত ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ না করবেন না। সাদা পোষাকে লাল সবুজের কাণ্ডারির দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর)ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এই কথা জানিয়ে গেলেন।
‘এটা একটা সম্মান, যদি কখনও এই ধরণের চ্যালেঞ্জ বলেন বা দায়িত্ব; অবশ্যই কেন না?’
হয়ত জানেন সবাই তারপরেও বলছি, তামিম ও মাহমুদউল্লাহ; এই দুজনের টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা আছে। তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ড সফরে। ওই সিরিজে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের আঙুল ফেটে গেলে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে তাকেই নির্বাচন করে বিসিবি।
আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেতৃত্ব দিয়েছেন ৬টি ম্যাচে। সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট তাকে মাঠের বাইরে ঠেলে দিলে ২০১৮ সালের শ্রীলঙ্কা সিরিজ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও চলতি বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সিরিজে লাল সবুজের নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব তার কাঁধে তুলে দেওয়া হয়।