যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম
১৩ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:১৬
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটরে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। দু’দলের জন্যই বাঁচা মরার লড়াই ছিলো ম্যাচটি। হারলেই বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। আর নক আউট পর্বের এই ম্যাচেই যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আর টুর্নামেন্টে চতুর্থ হিসেবেই শেষ করতে হলো যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে।
যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বেশ সহজেই জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। উদ্বোধনী জুটিতে ক্রিস গেইলের সঙ্গে ব্যাট হাতে নামেন জিয়াউর রহমান। আর ব্যাট হাতে ১২ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে জিয়াউর যখন আউট হন তখন চ্যালেঞ্জার্সদের দলীয় সংগ্রহ ৪২। এরপর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন গেইল। দলীয় ৯১ রানে ব্যক্তিগত ৩২ রানে আউট হন ইমরুল কায়েস।
এরপর গেইল ফেরেন ৪৯ বলে মাত্র ৩৮ রান করে। তবে ততক্ষণে জয়ের বন্দরের কাছেই পৌঁছে গেছে চট্টগ্রাম। ১০২ রানে গেইল ফিরলে চ্যালেঞ্জার্সদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। গেইল ফেরার পর চট্টগ্রামকে জয়ের পথে রাখেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর চ্যাডউইক ওয়াল্টন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ ৩৪ আর ওয়াল্টন ১২ রান করলে ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের ১৮তম ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ঢাকার হয়ে ২.৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নেন শাদাব খান। আর চার ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান।
এর আগে ঘরের মাঠে টসে জিতে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনকে ব্যাট করতে পাঠায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। দলীয় ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন ঢাকার ওপেনার তামিম ইকবাল। রানের খাতা না খুলেই মাঠ ছাড়েন এনামুল হক বিজয় এবং লুইস রিস।
চট্টলার পেসার রায়াদ এমরিত নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে পরপর আঘাত হেনে বসেন ঢাকার শিবিরে। ওভারের চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান এবং জাকের আলিকে। ফলে ৪৩ রানেই ৫ম উইকেটের পতন ঘটে ঢাকার। উইকেটে থিতু হয়ে বসেছিলেন মুমিনুল হক। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনিও। এমরিতের তৃতীয় শিকার হয়ে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান।
মুমিনুলের বিদায়ের পর ১০০ এর নিচে গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। কিন্তু থিসারা পেরেরাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শাদাব খান। এই দুইজনের গড়া ৪৪ রানের জুটি ভাঙে রুবেল হোসেনের কল্যাণে। ১৩ বলে ২৫ করা পেরেরাকে জিয়াউরের তালুবন্দি করে ফেরান এই পেসার।
কিন্তু হাল ছাড়েননি শাদাব খান। তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। সেই সাথে দলকে তেনে নিয়ে যান লড়াকু সংগ্রহের দিকে। শেষ পর্যন্ত তাঁর ঝড়ো ৪১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন।