ক্যারিয়ার হাতে নিয়ে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছেন বাটলার
৯ আগস্ট ২০২০ ১৪:৫৩
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারতে হারতেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। আর এই জয়ের পুরো কৃতিত্বই প্রাপ্য জশ বাটলার এবং ক্রিস ওকসের। দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে জেতানো বাটলার ম্যাচ শেষে চোখ চড়ক গাছ হওয়ার মতো কথা জানিয়েছেন। এই ইংলিশ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন এই ম্যাচে রান করতে না পারলে নাকি এটাই তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হত।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া মাত্র ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহের তোপের সঙ্গে ইয়াসির শাহর ঘূর্ণিতে সামলাতেই পারছিল না ইংলিশরা। দলীয় সংগ্রহ ১০০ পেরুতে না পেরুতেই পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জশ বাটলার এবং ক্রিস ওকস তোলেন ১১৭ রান। আর তাতেই জয়ের ভিত গড়ে ওঠে স্বাগতিকদের।
চাপের মুখে বাটলারের ব্যাট থকী আসে ৭৫ রান। আর অলরাউন্ডার ওকস করেন হার না মানা ৮৪ রান। এই দুইয়ে ভর করে শেষ পর্যন্ত তিন উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে তরী ভেড়ায় ইংলিশরা আর সেই সঙ্গে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
পড়ুন: নাটকীয় জয়ে সিরিজে এগিয়ে ইংল্যান্ড
চতুর্থ ইনিংসে ১০১ বলে খেলা বাটলারের এমন ইনিংস অবশ্য কোনো অবস্থাতেই সহজ ছিল না। একে তো পাকিস্তানের বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্স, তার ওপর সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মেও ছিলেন না বাটলার। শেষবার অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে। তবুও সম্প্রতিক সময়ের ফর্ম তার পক্ষে ছিল না। পাকিস্তানের বিপক্ষের টেস্ট বাদ রাখলে এর আগের সাতটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের ভেতর কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে করতে পেরেছিলেন ৫৭ রান আর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষের শেষ টেস্টে ৬৭ রান।
এর আগে টেস্টসে ১৪ ইনিংসে অর্ধশতকই ছুঁতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আর তাই তো তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও বলছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে। সব মিলিয়ে সময় তার বিপরতিতে চলছিল। তাই তো ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হিসেবেই ম্যানচেস্টার টেস্টকে বিবেচনা করেছিলেন তিনি।
ঐতিহাসিক জয়ের পর স্কাই স্পোর্টসকে বাটলার বলেন, ‘আমি পারফর্ম করতে পারছি না সেটা আমার মাথায় ছিল। বেশ কিছু সুযোগ আমি হাতছাড়া করেছি। আপনি কত রান করলেন সেটা ব্যাপার না- কেননা এই পর্যায়ে খেলে আপনি সেটা (সুযোগ হাতছাড়া) করতে পারেন না! আপনাকে ভালো করতেই হবে। এটা আমার মাথায় ছিল। আমি ভাবছিলাম আমি যদি রান না করতে পারি তাহলে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলছি।’
তবে শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ভেঙে না পড়ে চাপকে শক্তিতে পরিণত করেছেন বাটলার। নিজের ক্যারিয়ার বাঁচিয়েছেন তো বটেই সেই সঙ্গে দলকে এনে দিয়েছেন স্বস্তির জয়ও। ২০১৪ সালের পর ইংল্যান্ড ৬টি সিরিজে প্রথম টেস্ট হেরে শুরু করেছে। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জয়টি স্বস্তি ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড শিবিরে।