Monday 07 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাধারণ সম্পাদকের স্বেচ্ছাচারিতায় নাকাল বাংলাদেশ বাস্কেটবল


১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:০৭ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:১৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক সাধারণ সম্পাদকের হাতেই যেন জিম্মি বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন! অভিযোগ আছে, গোটা ফেডারেশকে তিনিই পুতুলের মত নাচাচ্ছেন! সভাপতি আছেন বটে কিন্তু তাকে ছাপিয়ে তিনিই হয়ে উঠেছেন ফেডারেশনের অলিখিত অধিপতি! হালে তার স্বেচ্ছাচারিতার মাত্রা এতটাই চরমে উঠেছে যে তাতে বাংলাদেশ বাস্কেট ফেডারেশনের অবস্থা নাকাল হয়ে উঠেছে এবং অতিষ্ট হয়ে উঠেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। অথচ সেদিকে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। বলছিলাম বাংলাদেশ বাস্কেট বল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কমান্ডার এ কে সরকারের কথা।।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ডিভিশন বাস্কেটবল। অথচ সেখানে রাখা হয়নি প্রিমিয়ার লিগের সিংহভাগ দল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে প্লেয়ারদের স্বাস্থ সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে ক্লাবগুলো ফেব্রুয়ারি-মার্চে লিগ আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি ফেডারেশেনের কর্তারা।

বিজ্ঞাপন

অতিমারির কারণে প্রিমিয়ার ডিভিশনের ১০টি দলের মধ্যে ৬টি দল ( দ্য গ্রেগরিয়াস, ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স, দ্য গ্রেগস, শাওনস, ঈগলস, ফ্লেম বয়েস) সময় পরিবর্তনের অনুরোধ জানায় কিন্তু বাস্কেট বল ফেডারেশন এই অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে ৪টি (বকসি বাজার, হরনেটস,রেঞ্জার্স, ধুমকেতু) এবং নিয়ম বহির্ভৃত ভাবে প্রথম বিভাগ থেকে ২টি দল নিয়ে চলমান লিগ পরিচালনা করছে। আর এক্ষেত্রে নাটের গুরুর ভুমিকা পালন করছেন সাধারণ সম্পাদক এ কে সরকার। তার স্বেচ্ছাচারিতায়ই সিংহভাগ দলকে নিগুঢ় মর্ম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ক্লাব কর্তাদের। শুধু তাই নয়, লিগের গঠনতন্ত্র না মানার অভিযোগও আছে তিনি ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।

প্রশ্নতীতভাবেই এতে করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বাস্কেট বল ফেডারেশনের সাংগঠনিক স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বল্য হারিয়েছে জাতির জনকের নামাঙ্কিত এই টুর্নামেন্ট।

দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ করলেন লিগ থেকে বাদ পড়া ক্লাবের কর্মকর্তা ও প্লেয়াররা।

সংবাদ সম্মেলনে ঈগলস ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এখলাস হোসেন, গ্রেগরিয়ানস ক্লাবের ম্যানেজার তানভির, ফ্লেম বয়েস ক্লাবের সত্বাধীকারি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ক্লাবের পক্ষ থেকে এসেছিলেন দলের প্লেয়ার ফাহিম আলম প্রান্ত। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ক্লাব সত্তাধারীও করোনাভাইরাসে আ্রকান্ত বিধায় তিনি আসতে পারেননি। তবে শাওনস ক্লাবের পক্ষ থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন কর্মকর্তা মাসুদ আক্তার মোবারকি।

মুখপা্ত্র সৈয়দ এখলাস হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন সভায় দফায় দফায় বলেছি যে লিগ পিছিয়ে দেন। প্লেয়ার বদল বা দল গোছানো এরকম কোন পর্যায়ই আমরা যাইনি। আমরা প্রথম থেকেই পেছানোর পক্ষে। মহামারির সময়ে প্রথম থেকেই আমরা লিগ পিছানোর পক্ষে ছিলাম। ‍ওনারা যেটা বলছেন সেটা ওনাদের মন গড়া।’

এখলাস হোসেনের অভিযোগ, সম্প্রতি এক সভায় লিগ পিছানোর বিষয়ে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে অনুরোধ করা হলেও তাতে কাজের কিছুই হয়নি বরং সাধারণ সম্পাদক এ কে সরকারের মতামতই প্রাধান্য পেয়েছে।

‘একটি সভায় আমারা লিগ পিছানোর বিষয়টি সভাপতি মহোদয়কে বলেছিলাম। কিন্তু এখানে আমার কাছে মনে হচ্ছে সভপতি মহোদয়ের চেয়ে সাধারণ সম্পাদক সাহেবের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এটা হচ্ছে। যে চারটি দল অংশ নিচ্ছে তারা কমিটির লোকজন দ্বারা পরিচালিত। ফেডারেশনের কর্মকর্তারা এই ক্লাবগুলোর সত্বাধিকারী। তো ওনারা ক্লাব স্বার্থ দেখার চেয়ে নিজেদের স্বার্থ দেখছেন। এটা হল মূল কারন।’

বিষয়টি নিয়ে সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘তাদের জন্য লিগ ১০ দিন পিছিয়ে আজকে আরম্ভ করলাম। তাদের অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা আমি জানি না। তাদের আমি বলেছি আপনাদের কোন সমস্যা থাকলে আমাকে বলেন, আমি সমাধান করব। একথটাও সত্য দলের প্লেয়ারদের খেলতে বলা হলেও তারা আসেনি। অথচ তারা অন্য দলের সঙ্গে খেলছে। তাহলে তো ওদের কথাটা ঠিক হল না।’

মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের পাল্টা প্রশ্ন,‘করোনার কারণে কি আমাদের সরকার বা দুনিয়ার কোন কাজ বসে আছে? বাংলাদেশ ফুটবল দল কি কাতারে খেলতে যায়নি? নেপাল দল কি বাংলাদেশ আসেনি? বাংলাদেশ ক্রিকেট কী ঘরোয়া ক্রিকেট করছে না?’

লিগ থেকে বাদ পড়া ছয় ক্লাবের দাবি, চরমান বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার ডিভিশন বাস্কেট বল লিগ অনতিবিরম্বে বন্ধ করে যেন তাদের চাওয়া পূরণ সাপেক্ষে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই চালু করা হয়।

টপ নিউজ বাংলাদেশ বাস্কেটবল বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন লে. কমান্ডার এ কে সরকার সংবাদ সম্মেলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর