পাপনের মন্তেব্যের প্রেক্ষিতে তামিমের ‘বিশেষ বার্তা’
৭ জুন ২০২২ ১৪:৪৪
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যত নিয়ে দুদিন ধরে পাল্টা-পাল্টি মন্তব্য চলছে তামিম ইকবাল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মধ্যে। এর প্রেক্ষিতে নিজের ফেসবুক পেজে বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তামিম।
গত রোববার টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার প্রশ্নে তামিম সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমাকে টি-টোয়েন্টি নিয়ে কথাই বলতে দেওয়া হয় না। অন্যরাই সব বলে দিচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে তামিমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিম মিথ্যা বলছে। তাকে আমি বারবার টি-টোয়েন্টি খেলতে বলেছি, সে নিজেই খেলেনি।
তামিম অবশ্য মিডিয়াকেও টি-টোয়েন্টিতে অনাগ্রহের কথা বলেছেন। ছয় মাসের আনুষ্ঠানিক বিরতি নিয়েছেন। এবং তিনি ফিরতে চান এমন কথা এখনো বলছেন না। বোর্ড তাকে টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল সেটাও অস্বীকার করছেন না। আপত্তির জায়গাটা হলো, তার টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যত নিয়ে একেক জন একেক কথা বলছেন। মিডিয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ পোস্টে তামিম এটাই বুঝাতে চেয়েছেন। তামিম ইকবালের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
আমার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি কথার সূত্র ধরে অনেকে বিভ্রান্ত হচ্ছেন বা মিডিয়ায় কিছু বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। দুই দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, আমার ঘোষণা আমি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না, অন্যরাই নানা কিছু বলে দিচ্ছে। এখানে বোর্ড কমিউনিকেট করেনি বা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি, এরকম কোনো কথা আমি একবারও বলিনি।
বোর্ড থেকে কয়েকবারই আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে টি-টোয়েন্টি নিয়ে। আমি ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এরপরও বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েক দফায়। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আমি কখনোই তুলিনি।
আমি সেদিন অনুষ্ঠানে যা বলেছি, আজকে আবার বলছি, “টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার যে প্ল্যান, সেটা তো আমাকে বলার সুযোগই দেওয়া হয় না। হয় আপনারা (মিডিয়া) বলে দেন, নয়তো অন্য কেউ বলে দেয়। তো এভাবেই চলতে থাকুক। আমাকে তো বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। এতদিন ধরে আমি ক্রিকেট খেলি, এটা ডিজার্ভ করি যে আমি কী চিন্তা করি না করি, এটা আমার মুখ থেকে শোনা। কিন্তু হয় আপনারা কোনো ধারণা দিয়ে দেন, নয়তো অন্য কেউ এসে বলে দেয়। যখন বলেই দেয়, তখন আমার তো কিছু বলার নেই।”
এটুকুই বলেছিলাম। এখানে কি উল্লেখ আছে যে কেউ যোগাযোগ করেনি? এরকম কোনো শব্দ বা ইঙ্গিত আছে? খুবই সাধারণ ভাষায় বলেছি, আমার কথা আমাকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ৬ মাসের বিরতি নিয়েছি, এর মধ্যেও মিডিয়া নানা কথা লিখে বা বলে যাচ্ছে, অন্যরাও কথা বলেই যাচ্ছেন।
বোর্ডের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নিয়মিতই আছে এবং তারা খুব ভালোভাবেই জানে, টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমার ভাবনা কোনটি। আমি স্রেফ নিজে সেই কথাটুকু বলতে চাই, সেই সময়টুকু চাই।
সময় হলে আমার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই আমি জানাব। ৬ মাস হতে তো এখনও দেড় মাসের বেশি বাকি। কিন্তু সেই সময়টার অপেক্ষা কেউ করছে না। এটাই দুঃখজনক।
সারাবাংলা/এসএইচএস