রাতারাতি কিছু পরিবর্তন হবে না: মাশরাফি
২৯ জুন ২০২২ ০০:৩৩
টেস্ট অধিনায়ক বদলেছে বাংলাদেশের। মুমিনুল হকের জায়গায় তৃতীয় মেয়াদে টেস্টের নেতৃত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে পারফরম্যান্স সেই একই জায়গাতেই আছে। সদ্য সমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও পুরো ব্যর্থ বাংলাদেশ। সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন হবে না। সাকিবকে সময় দিতে হবে।
ঠিক হাতেই বাংলাদেশের নেতৃত্ব পড়েছে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক। মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব যে অধিনায়ক হয়েছে এটা আমি মনে করি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। এ কারণে মনে করি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও পারফর্মারের হাতে অধিনায়কত্ব থাকা উচিত এবং সেটা আছে। আমি যেটা বললাম রাতারাতি কোনো কিছু চিন্তা করলে হবে না। সাকিবের হাতে গিয়েছে মানে জিতে যাবো, এটা কোনো ফ্লুক না। বাকি ১০জনকেও পারফর্ম করতে হবে। সুতরাং সাকিবকে একটু সময় দিতে হবে। সে জিনিসটাকে গুছিয়ে নিয়ে যখন সামনে অগ্রসর হবে তখন দেখবেন জিনিসটা আস্তে আস্তে হয়েছে।’
মাশরাফি বলেন, ‘টেস্ট আমরা কখনোই ভালো ছিলাম না। আমরা মাঝে হোমে কিছু ম্যাচ জিতেছিলাম, একটা প্রগ্রেসের দিকে যাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে আবার নিচের দিকে। টেস্টে আমরা কখনোই ধারাবাহিক ছিলাম না। যে ফরম্যাটে ধারাবাহিক সেই ফরম্যাট হল ওয়ানডে। ২০১৫ সাল থেকেই আমরা ধারাবাহিকভাবে কম বেশি ভালো খেলে এসেছি। টেস্ট ক্রিকেটে ইতিবাচক ব্যাপার হল সাকিব বেশ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। সাকিব এখন অধিনায়ক কিন্তু রাতারাতি কিছু হওয়া সম্ভব না। সাকিব কিছু কথা বলেছে যেগুলোর গভীরতা আছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজে সাধারণত ভিন্ন বলে খেলা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সেই বলে মানিয়ে নিয়ে পারফর্ম করা সহজ বিষয় নয়। সেটা স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেন মাশরাফি, ‘ওকে (সাকিব) সময় দিতে হবে। আমার বিশ্বাস সময় দিলে এটা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো আবার। কিছুটা সময় লাগবে। কারণ আপনি অনেক দূর পিছিয়ে গেছেন আবার সামনে এগোতে গেলে, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেট…আরেকটা কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউক বলে খেলা, যেটায় আমরা অভ্যস্ত না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড এই দুই জায়গায় কিন্তু ডিউক বলে খেলা হয়। ডিউক বলে মানিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। এগুলো সব বিবেচনায় নিয়ে…আপনি হুট করে দলকে চাপ দিলেও হবে না।’
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠে নিয়মিতই। ঘরোয়া ক্রিকেটকে আরও কার্যকর করে তোলার পরামর্শ মাশরাফির। এবং পরিবর্তনটা এখনই হওয়া উচিত মনে করছেন তিনি, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরির জায়গা। আমাদের যারা স্থানীয় খেলোয়াড় খেলছে, তাদের মাঝ থেকেই তো খেলোয়াড় উঠে আসবে। জাতীয় দল জাতীয় দলের জায়গায় থাকবে। কিন্তু এই খেলাগুলো চলমান থাকলে দুই একজন ক্রিকেটার ওখান থেকে পাবেনই। ২-৩ সিজন পরে ৮-১০ জন খেলোয়াড় বের করার চিন্তা করলে হবে না। ২-৩ সিজন পরে যদি একজন চৌকস খেলোয়াড় পান, যে কি না আপনাকে ১৫ বছর সার্ভিস দেবে। আপনার ফোকাস থাকতে হবে এরকম। এগুলো ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া আরও ১০০ বছর আগে করেছে। ভারত ৩০ বছর আগে করেছে এখন ফল পাচ্ছে। এখন আমরা শুরু করলে আমরাও পাবো। আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে।’
সারাবাংলা/এসএইচএস