যে মন্ত্রে বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবুয়ে
৪ আগস্ট ২০২২ ১৩:৪৭
রায়ান বার্লের এখন উপভোগের সময়! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশকে প্রথমবার সিরিজ হারাল জিম্বাবুয়ে তাতে বার্লের যে বড় অবদান। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে একটি একটি করে জয় পায় দুই দল। শেষ টি-টোয়েন্টিতে একটা সময় বাংলাদেশের দিকেই পাল্লা হেলে ছিল। ৬৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল প্রথমে ব্যাটিং করতে নামা জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছেন বার্ল।
অষ্টম উইকেট জুটিতে লুক জংয়েকে সঙ্গে নিয়ে ৭৯ রান তুলেছেন মাত্র ৩১ বল খেলে। তাতে বার্লের অবদান ২৮ বলে ৫৪। বাংলাদেশি স্পিনার নাসুম আহমেদের এক ওভার থেকেই পাঁচ ছয় আর এক চারে ৩৪ রান তুলেছেন জিম্বাবুয়ান ক্রিকেটার। ম্যাচ শেষে দুই দলের অধিনায়কই বলেছেন, ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ওই ওভারটিই।
বাংলাদেশকে সিরিজ হারানোর আগে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দারুণ ক্রিকেট খেলেছে জিম্বাবুয়ে। বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে আফ্রিকান দলটি। বার্ল বললেন, এই ফরম্যাটে তারা এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে অনেক। আর এই মানসিক পরিবর্তনটাই পারফরম্যান্সে বড় ভুুমিকা রাখছে।
বার্ল বলেন, ‘হিটিং মিটারটা হলো এমন, ৬-৪-২-১। ছক্কা থেকে শুরু সব। এরপর বলের মেধা বুঝে খেলা। এটা আগে মাথায় ঢোকাতে হবে। মেরে খেলার ক্ষেত্রে মাথাটাই আসল। মানসিকতা যদি বদলানো যায়, তাহলে চার-ছক্কা আসবেই। দেখুন না, আমরা মানসিকতা বদলে কী করে ফেলেছি! আমরা সর্বশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতে জিতেছি। দলের মধ্যে এখন আত্মবিশ্বাস ভরপুর। এত দ্রুত পরিবর্তন আনা মানসিকতা পাল্টানো ছাড়া সম্ভব নয়।’
ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেওয়া সেই ওভারের বর্ণনায় বার্ল বললেন, ‘আমার জন্য আদর্শ ম্যাচআপ ছিল। বাঁহাতি স্পিনার দেখেই আমি ঠিক করে ফেলি যে এই ওভারে ২০-এর বেশি রান নেব। প্রথম বলটা ছয় মারার পর আত্মবিশ্বাসও পেয়ে যাই। বাকিটা ইতিহাস।’
দলটির ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজনারের বিশেষ বার্তাও কাজে লেগেছে বললেন বার্ল, ‘দ্বিতীয় ম্যাচে আমি ৩১ বলে ৩২ রান করেছি। কোনো ঝুঁকি নিইনি। আমার দলও জেতেনি। আজও একই অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু আগের দিন আমি যা করিনি, সেটা আজ (পরশু) করেছি। জুলুকে (ক্লুজনার) জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কী করা উচিত যদি “ম্যাচআপ” মিলে যায়। সে বলেছে, “মার নয়তো মর।” আমিও তা–ই করেছি।’
বাংলাদেশি স্পিনের বিপক্ষে এর আগেও চড়াও হওয়ার ইতিহাস আছে বার্লের। ২০১৯ সালের বাংলাদেশ সফরে সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৩০ রান তুলেছিলেন তিনি। চার মেরেছিলেন তিনটি, ছক্কা তিনটি। পরশু চড়াও হন নাসুমের ওপর। সাকিব-নাসুমকে খোঁচাও মারলেন জিম্বাবুয়ান তরুণ।
এই সিরিজ থেকে আগেই বিশ্রাম চেয়ে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের অনুপস্থিতিকে মনে করিয়ে দিয়ে বার্ল বলেন, ‘আমরা দলের সবাই এটা নিয়ে মজা করছিলাম। এখন সাকিব কই? সে এই সফরে এল না যে? আজ নাসুমের ওভারে ৩৪ নিয়েছি। কে জানে, সে–ও হয়তো সাকিবের মতো পরেরবার জিম্বাবুয়ে সফরে আসবে না (হাসি)।’
সারাবাংলা/এসএইচএস