এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সুবিচার করতে পারেননি টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর মোসাদ্দেকের লড়াকু ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৭ রান। আফগানিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করে তিনটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খান।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়েছেন মুজিব উর রহমান। এরপর রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত মিডল অর্ডার। তবে লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতে নেমে একাই লড়াই করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। একাই বাংলাদেশকে এনে দেন সম্মানজনক পুঁজি।
শুরুটা ওপেনার নাঈমকে দিয়ে। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটা নড়বড়ে ভাবেই খেলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ফজলহক ফারুকিকে সামলানোর পরের ওভারেই বল হাতে আসেন মুজিব উর রহমান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলটি সামনের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু বলের লাইন মিস করেন নাঈম আর মুজিবের বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ৮ বলে ৬ রান করেন নাঈম। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে ৭ রানে হারায় প্রথম উইকেট।
এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রাথমিক ধাক্কা কাটাতে বিজয়কে সঙ্গে দিচ্ছিলেন সাকিব। চতুর্থ ওভারের শেষ বলটি করেন মুজিব। ওই বলটি ক্রস ব্যাটে খেলেন বিজয় আর মিস করেন বলের লেন্থ, বল গিয়ে আঘাত হানে বিজয়ের পায়ে জোরালো আবেদন করলেও আম্পার নটআউট দেন। পরে রিভিউ নিয়ে বিজয়কে ফেরায় আফগানরা। আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ৫ রান করেন বিজয়।
ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে আবারও আসেন মুজিব উর রহমান। প্রথম বল থেকে দুই রান নেন সাকিব। তবে দ্বিতীয় বলটি আর মোকাবিলা করতে পারেননি সাকিব। মুজিবের করা বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ১১ রান করেন সাকিব। বাংলাদেশ ২৪ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট।
চারে ব্যাট করতে এসে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারনেনি। ৭ম ওভারে বল হাতে আসা রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন মুশফিকও। রশিদ খানের গুগলিতে পরাজিত হন মুশি। আউট হওয়ার আগে ৪ বলে মাত্র ১ রান করেন তিনি। বাংলাদেশ ২৮ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই জুটি কিছুটা আশা জাগালেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এই জুটিতে ভর করে ১০ ওভারে বাংলাদেশ পূর্ণ করে অর্ধশতক। তবে জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে রশিদ খানের বল এলবি হয়ে ফেরেন আফিফ। আউট হওয়ার আগে আফিফ ১৫ বলে ১২ রান করেন আর বাংলাদেশ ৫৩ রানে হারায় ৫ম উইকেট।
৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোসাদ্দেক হোসেন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিলেও জুটি বড় করতে পারেননি রিয়াদ। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খানকে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইব্রাহিম জাদরানের তালুবন্দি হন রিয়াদ। আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে এক চারে ২৫ রান করেন রিয়াদ। এই জুটি ৩১ বলে ৩৬ রান তোলেন।
শেষ দিকে এসে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ সম্মানজনক স্কোর গড়েন। মেহেদি হাসান ১২ বলে ১৪ রান করেন। আর মোসাদ্দেক ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এতেই বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান। আফগানদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান এবং রশিদ খান।