ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে ম্যাচের ২৪ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে তারকামন্ডিত পিএসজি। তবে প্রথমার্ধেই লিওনেল মেসির গোলে সমতায় ফেরে প্যারিসিয়ানরা। আর দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপে এবং নেইমার জুনিয়রের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী ম্যাকাবির বিপক্ষেও নিজেদের সেরা একাদশ মাঠে নামায় পিএসজি। তবে ঘরের মাঠে পিএসজিকে শুরুতে দম ফেলার সুযোগ দেয়নি ম্যাকাবি। খাতা কলমে এগিয়ে থাকা পিএসজিকে বেশ ভুগিয়েছে ম্যাকাবি। গোটা ম্যাচের প্রায় ৪৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৩টি শট নিয়েছে ম্যাকাবি যার মধ্যে ৫টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ বল দখলে রাখা পিএসজির ১৬টি শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে এগিয়ে যাওয়া হয়নি প্যারিসিয়ানদের। আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে চলছিল ম্যাচটি যার ভেতর ২৪তম মিনিটে এসে পিএসজিকে থমকে দেয় ম্যাকাবি। মধ্যমাঠে বল হারিয়ে রক্ষণ সামলাতে পারেনি সার্জিও রামোসরা। বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে আক্রমণ করে ডলেভ হাজিজা দুর্দান্ত এক ক্রস দেন ডি বক্সে সেখানে বল পেয়ে প্রথম চেষ্টায় ভলিতে লক্ষ্যভেদ থারোন চেরির। পিএসজির বিপক্ষে ১-০ গোলের লিড নেয় ম্যাকাবি।
তবে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপে আর নেইমার জুনিয়ররা। তবে সমতায় ফেরার আগে পিএসজি ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল কিন্তু সে যাত্রায় রক্ষা মেলে অফসাইডের কারণে। তবে ৩৭তম মিনিটে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে প্যারিসিয়ানরা।
সমতায় শেষ হওয়া প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে নেইমাররা। অবশেষে ম্যাকাবির ডেডলক ভাঙে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে। বল পেয়ে ম্যাকাবির রক্ষণের ফাটল খুঁজে বের করে সামনে বল বাড়ান মেসি। আর বল পেয়ে দারুণ এক ফিনিশিংয়ে দলকে লিড এনে দেন কিলিয়ান এমবাপে। এরপর ম্যাচের শেষ দিকে এসে মার্কো ভেরাত্তির অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ৩-১ করেন নেইমার জুনিয়র।
শেষ পর্যন্ত আক্রমণভাগের ত্রয়ীর প্রত্যেকের একটি করে গোলে পিএসজি ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এদিকে ঘরের মাঠে সালজবুর্গের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে চেলসি। আর নিজেদের মাঠে ম্যাচের চার মিনিটে লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত বেনফিকার কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে জুভেন্টাস।