Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বকাপের দল পরিচিতি: তিউনিসিয়া

মো. সাইফুল আলম তালুকদার
১৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৪

এক কোটি বিশ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিউনিসিয়া এবারের বিশ্বকাপে ষষ্ঠবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। এবারের বিশ্বকাপে শক্তিশালী ‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্স ডেনমার্ক এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী তিউনিসিয়া।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে তিউনিসিয়ার অবস্থান ৩০। শীর্ষ দল ফ্রান্সে আছে চারে, ডেনমার্কের অবস্থান ১০-এ‌ আর অস্ট্রেলিয়ার স্থান হচ্ছে ৩৮।

২০১৮ বিশ্বকাপে খেলা বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই কাতার বিশ্বকাপে যাচ্ছেন। চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ১২ জনই জন্মগ্রহণ করেছেন তিউনিসিয়ার বাইরে। ১০ জন জন্মগ্রহণ করেছেন ফ্রান্সে, ১ জন জার্মানিতে আর বাকি ১ জন ডেনমার্কে। তবুও এই দলের বিশ্বকাপ দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এমনিতেই আছে তারা একটি কঠিন গ্রুপে, পক্ষান্তরে বিশ্বকাপে পূর্বেকার কোনো আসরে তারা প্রথম রাউন্ডের বাধা অতিক্রম করতে পারেনি।

বিগত বিশ্বকাপে তিউনিসিয়ার পারফরম্যান্স—

আগেই বলা হয়েছে তিউনিসিয়া তাদের পূর্বের পাঁচটি বিশ্বকাপের একটিতেও দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারেনি। বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স বিবর্ণ হলেও তারাই আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে জয় তুলে নিয়েছিল ১৯৭৮ সালে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। ১৯৭৮ বিশ্বকাপই তাদের সেরা ছিল, কারণ সে বছর তারা পশ্চিম জার্মানির সঙ্গেও ০-০ গোলে ড্র করেছিল এবং ৩ ম্যাচ থেকে সর্বমোট ৪ পয়েন্ট অর্জন করেছিল।

তিউনিসিয়া বিশ্বকাপে সর্বমোট ১৫টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে মাত্র ২টিতে, ড্র করেছে ৪টিতে এবং হেরেছে ৯টি ম্যাচে। তারা গোল করেছে ১২টি এবং গোল হজম করেছে ২৬টি।‌‌ ২টি জয়ের শেষটি এসেছিল ২০১৮ বিশ্বকাপে পানামার বিরুদ্ধে। ১৯৭৮ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপ বাদ দিলে মাঝের ৩টি বিশ্বকাপে প্রতিটি গ্রুপ পর্বে ১টি মাত্র ড্রয়ের বিপরীতে ২টি করে পরাজয় জুটে ছিল তিউনিসিয়ার।‌

বিজ্ঞাপন

তাদের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ খেলেছেন রিয়াদ বোয়াজিজি এবং কায়েস ঘোদবানে।‌‌ তারা দুজনেই ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপে খেলেছেন।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব সহ তিউনিসিয়ার প্রস্তুতি কেমন হলো—

তিউনিসিয়া আফ্রিকা অঞ্চলে ‘গ্রুপ-বি’ থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে ‘গ্রুপ-ই’র চ্যাম্পিয়ন মালির (ফিফা র‍্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান: ৪৬) সঙ্গে দুই লেগের প্লে-অফে ১-০ গোলে জয়লাভ করে কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে।

বিশ্বকাপ বাছাই-পর্ব শেষ হওয়ার কয়েক মাস আগে আফ্রিকান নেশনস কাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে বুরকিনা ফাসোর সঙ্গে ০-১ গোলে পরাজিত হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় তিউনিসিয়া।

এ বছরের জানুয়ারি থেকে তারা ১৩টি ম্যাচে ৭টিতে জয়লাভ করেছে, ২টিতে ড্র করেছে এবং বাকি ৪টিতে পরাজিত হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাজিলের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচে গত সেপ্টেম্বর মাসে পরাজিত হয়েছে ১-৫ গোলে। প্রীতি ম্যাচে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল জুন মাসে জাপানে অনুষ্ঠিত ‘কিরিন কাপে’ চিলিকে ২-০ এবং জাপানকে ফাইনালে ৩-০ গোলে পরাজিত করা। তবে ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তারা শেষবার খেলেছে ২০১৮ সালে, যেখানে বেলজিয়ামের কাছে হেরেছিল ২-৫ গোলে। ‘

তিউনিসিয়ার খেলার সময়সূচি—

তিউনিসিয়া তাদের গ্রুপের প্রথম ম্যাচটি খেলবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে ২২শে নভেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৬শে নভেম্বর, খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তাদের গ্রুপের শেষ ম্যাচটি খেলতে হবে ফ্রান্সের সঙ্গে ৩০শে নভেম্বর।

বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচে তিউনিসিয়া যে সমস্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলবে তাদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফল:

বিজ্ঞাপন

ডেনমার্কের সঙ্গে তারা প্রথম ম্যাচ খেলবে, যাদের সঙ্গে এ পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই তারা পরাজিত হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুটি ম্যাচ খেলে একটিতে জয় এবং একটিতে পরাজিত হয়েছে। গ্রুপে তাদের প্রবল প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের সঙ্গে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচের দুটিতে ড্র করতে পেরেছিল এবং বাকি দুটিতে হেরেছে। ‌

কাতার বিশ্বকাপে তিউনিসিয়ার সম্ভাবনা—

এবারের বিশ্বকাপে তিউনিসিয়া তাদের শক্তিমত্তার বিচারে কঠিন গ্রুপে পড়ার কারণে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল কোচ ছিলেন রজার লেমেরে, যার অধীনে তিউনিসিয়া ছয় বছরে ৬৭টি ম্যাচ খেলে ৪০টি ম্যাচে জয় পেয়েছিল এবং ২০০৪ সালে তাদের একমাত্র আফ্রিকা নেশনস কাপ জয় করেছিল। সেই লেমেরো তাদের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে নিয়ে যেতে পারেনি।

কোচ জালেল কাদরী—

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বল্প পরিচিত ৫০ বছরের জালেল কাদরী, তিউনিসিয়া দলের দায়িত্ব পান ২০২২ সালের ৩০শে জানুয়ারিতে। তিনি এই দায়িত্ব পান আফ্রিকান নেশনস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেবার পরপরই।

মাত্র ১০-১১ মাসের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল বাছাই পর্বের প্লে-অফে মালিকে এবং কিরিন কাপে জাপানকে পরাজিত করা। ‌‌তার অধীনে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচে তিউনিসিয়া ৫টিতে জয় ২টিতে ড্র এবং ১টিতে পরাজিত হয়েছে।

কাদরী তার ২১ বছরের ক্যারিয়ারে তিউনিসিয়া জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৩ এবং ২০২১ সালে। তিনি এ পর্যন্ত তিউনিসিয়া জাতীয় দল, সৌদি আরব এবং লিবিয়ার ক্লাব সহ ২০টি দলের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বকাপে তিউনিসিয়ার সম্ভাবনা যাই থাকুক তাদের কোচ কাদরী নিজের জন্য টার্গেট ঠিক করেছেন। তিনি সম্প্রতি এক টিভি শোতে বলেছেন বিশ্বকাপে আমরা যদি দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে না পারি তাহলে আমি বিদায় নিয়ে নেব।‌

কোন ফর্মেশনে তিউনিসিয়া খেলবে—

তিউনিসিয়া বরাবরই একটি রক্ষণাত্মক দল। ‌ নতুন কোচ কাদরী সাধারণত আক্রমণাত্মক মনোভাবের সমন্বয়ে ৪-৩-৩ পদ্ধতিতে দলকে খেলাতে চাইছেন। কিন্তু ঐতিহাসিক ভাবে যে দল রক্ষণাত্মক খেলে সে দলকে কিভাবে তিনি আক্রমণাত্মক খেলাবেন সেটা নিশ্চয়ই দেখার বিষয় হবে। ‌

বাস্তবতা হচ্ছে‌, কিরিন কাপের ফাইনালে জাপানের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়ার বল পজেশন ছিল মাত্র ৩২%।‌‌যেহেতু তিউনিসিয়া কঠিন গ্রুপে পড়েছে তাই বড় দল বিশেষ করে ডেনমার্ক এবং ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তাদেরকে ৪-৫-১ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, যেখানে দুইজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার খেলালে দল ভালো কিছু আশা করতে পারে। অন্ততপক্ষে বেলজিয়াম বা ব্রাজিলের সাথে যেভাবে ৫ গোল খেয়েছে সেরকম কোন লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে পারে।

প্রধান তারকা—

মন্টপেলিয়ারে খেলা ওহাবী খাজরী তিউনিসিয়ার সবচেয়ে স্বীকৃত ও নির্ভরযোগ্য নাম। তিনি এখন পর্যন্ত ফরাসি এবং ইংলিশ লিগে ৩৯৬টি ম্যাচ খেলে ৯৩টি গোল করেছেন। আর জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ২৪টি গোল করেছেন ৭১টি ম্যাচে, যা তাকে দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরারে পরিণত করেছে। পুরো বিশ্বকাপ বাছাই-পর্বে তিনি দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। দর্শনীয় গোল করার ক্ষেত্রে তার বেশ যশ রয়েছে। ‌কিন্তু ইনজুরির কারণে এ বছর খুব বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলতে পারায় তিউনিসিয়া তাকে নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।‌

অগোচরের নায়ক—

ফ্রান্সে জন্ম গ্রহণ করা ২৫ বছরের আইসা লাইদুনি ফ্রান্স ও আলজেরিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলার হাতছানি বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছেন তিউনিসিয়াকে।‌‌ তিনি বর্তমানে খেলছেন হাঙ্গেরির ফেরেনকভারোস ক্লাবে। মার্চ ২০২১ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচের প্রায় প্রতিটি মিনিট তিনি খেলেছেন। বল পায়ে তিনি যথেষ্ট শান্ত থাকেন এবং খেলায় অত্যন্ত দক্ষ হওয়ায় মিড-ফিল্ড সুরক্ষা রাখার একটি ভরসার নাম তিনি। তিউনিসিয়ানরা আশা করছেন বিশ্বকাপে ভালো খেলতে পারলে আরো বড় কোন ক্লাবে খেলা‌ পারবেন। মাসাকনি এবং খাজরী‌ এই বিশ্বকাপের পর বিদায় নিলে, লাইদুনি পরবর্তী প্রজন্মের সেরা হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

তরুণ তারকা—

১৯ বছরের মিডফিল্ডার, হ্যানিবল মেজব্রি ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এএস মোনাকো এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের যুব দলের অংশ ছিলেন। মে ২০২১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হওয়ার পর এখন বার্মিংহাম সিটিতে ধারে খেলছেন। ২০২১ সালের আরব কাপে পাঁচটি ম্যাচের দুটিতে আরব আমিরাত এবং মিশরের সঙ্গে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’ হয়েছিলেন। অপ্রত্যাশিত প্রতিভাবান উৎস থেকে জাদুকরী মুহূর্ত সৃষ্টি করতে সক্ষম হতে পারেন এই তরুণ মিড-ফিল্ডার।

বিশ্বকাপের স্কোয়াড—

গোলরক্ষক: আয়মেন দাহমেন (স্ফ্যাক্সিন), আয়মেন মাথলুথি (এটোয়েল ডু সাহেল), মৌয়েজ হাসান (ক্লাব আফ্রিকান), বেচির বেন সাইদ (মোনাস্তির)।

ডিফেন্ডার: আলি আবদি (ক্যান), মোহাম্মদ ড্রেগার (লুজারন), আলি মালউল (আল-আহলি), ওয়াজদি কেচরিদা (অ্যাট্রোমিটোস), নাদের ঘান্দ্রি (ক্লাব আফ্রিকান), ইয়াসিন মেরিয়া (এসপারেন্স), বিলেল ইফা (কুয়েত এফসি), ডিলান ব্রন (সালারনিটানা), মনতাসার তালবি (লরিয়েন্ট)।

মিডফিল্ডার: এলিস স্খিরি (এফসি কোলোন), ঘাইলেন চালালি (এসপারেন্স), আইসা লাইদুনি (ফেরেন্সভারস), মোহাম্মদ আলী বেন রোমধনে (এসপারেন্স), ফেরজানি সাসি (আল-দুহাইল), হ্যানিবল মেজব্রি (বারমিংহাম)।

ফরোয়ার্ড: ইউসেফ মাসাকনি (আল-আরাবি), সেফেদ্দিন জাজিরি (জামালেক), নাইম স্লিতি (এত্তিফাক), ইসাম জেবালি (ওডেনসে বোল্ডক্লাব), তাহা ইয়াসিন খেনিসি (কুয়েত এসসি), আনিস বেন স্লিমানে (ব্রন্ডবি) এবং ওয়াহবি খাজরি (মন্টপেলিয়ার)।

সম্ভাব্য শুরু একাদশ—

গোলরক্ষক: আয়মেন দাহমেন;

ডিফেন্ডার: মোহাম্মদ ড্রেগার, মনতাসার তালবি, ডিলান ব্রন, আলি আবদি;

মিডফিল্ডার: ফেরজানি সাসি, আইসা লাইদুনি, মোহাম্মদ আলী বেন রোমধনে;

ফরোয়ার্ড: আনিস বেন স্লিমানে, ইউসেফ মাসাকনী এবং ওয়াহবি খাজরি।

আমার দেখা তিউনিসিয়ার সেরা একাদশ (বিগত বিশ্বকাপ গুলো মিলিয়ে):

গোলরক্ষক: আয়মেন মাথলুথি (ম্যাচ: ৬৭। ৩৮ বছর বয়সে এখনো জাতীয় দলে খেলে যাচ্ছেন। তিনি কখনো তিউনিসিয়ার বাইরে কোন ক্লাব দলে খেলেননি)।

রক্ষণভাগ:

রাইট উইংব্যাক: হাতেম ট্রাবেলসি (ম্যাচ: ৬৬ এবং গোল: ১। তিনি হল্যান্ডের আয়াক্সে ৯৯টি এবং ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ২০টি ক্লাব ম্যাচ খেলেন)। তিনি আমার তিউনিসিয়ার সবচেয়ে প্রিয় এবং সেরা খেলোয়াড়।

সেন্ট্রাল ডিফেন্স: রাধি জাইদি (ম্যাচ: ১০৫ এবং গোল: ৭। ছয় ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার এই ডিফেন্ডার, ইংল্যান্ডের বোল্টন, বার্মিংহাম সিটি এবং সাউদাম্পটনের হয়ে ১৮৭টি ক্লাব ম্যাচ খেলেন)

করিম হাগুই (ম্যাচ: ৭৬ এবং গোল: ৬। ছয় ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার হাগুই ফ্রান্স, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের লীগে ২৯৬টি ম্যাচ খেলেন।‌‌ যার মধ্যে জার্মানির বায়ার লেভারকুসেন এবং হ্যানোভার ক্লাবে খেলেন ১৬৬টি ম্যাচ)

লেফট ব্যাক: রউফ বাউজাইনি (ম্যাচ: ৪৫ এবং গোল: ২। তিনি ইতালির জেনোয়া ক্লাবে ৪৭টি ম্যাচ খেলেন)

মধ্যমাঠ:-

ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড: মেহেদী নাফতি (ম্যাচ: ৪৬ এবং গোল: ১।‌‌ ক্যারিয়ারে ৩৪৩টি ম্যাচ তিনি ফ্রান্স, স্পেন, ইংল্যান্ড প্রভৃতি দেশের লীগে খেলেছেন। স্প্যানিশ লীগে ২০৬টি ম্যাচের মধ্যে ১১০টি খেলেছিলেন রেসিং স্যান্টান্ডারের হয়ে।)

জওহর এমনারী (ম্যাচ: ৪৪ এবং গোল: ৩।‌‌‌‌ ৬ ফুট উচ্চতার এমনারী জার্মানির নুরনবার্গ ক্লাবে ৮৮টি ম্যাচ খেলেন)

অ্যাটাকিং-মিডফিল্ড: রিয়াদ বোয়াজিজি (ম্যাচ: ৯২ এবং গোল: ৪। ছয় ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতার বোয়াজিজি তুর্কি লীগে ১৯৭টি ক্লাব ম্যাচ খেলেন)

জুবাইর বেয়া (ম্যাচ: ৮১ এবং গোল: ২৭। তিনি জার্মানির ফ্রেইবার্গ এবং তুরস্কের বেসিকতাস ক্লাবে যথাক্রমে ১১৪ এবং ২৬টি ম্যাচ খেলেন)

স্ট্রাইকার:- ওহবী খাজরী (ম্যাচ: ৭১ এবং গোল: ২৪। ৩১ বছর বয়সী খাজরি এখনো তিউনিসিয়ার জাতীয় দলে খেলছেন এবং তার বর্তমান ক্লাব হচ্ছে ফ্রান্সের মন্টপেলিয়ার। ফ্রেঞ্চ লীগে তিনি এখনো পর্যন্ত ৩৫৮টি ক্লাব ম্যাচ খেলেছেন এবং ৯০টি গোল করেছেন।‌‌ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন বাস্তিয়া এবং‌ সেন্ট-এতিয়েনে যথাক্রমে ১৭১ এবং ১০০টি ম্যাচ)

ইসাম জেমা (ম্যাচ: ৭৮ এবং গোল: ৩৬। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার এই স্ট্রাইকার ফ্রান্সের বিভিন্ন লীগে‌ খেলেন ১৫২টি ম্যাচ, যার মধ্যে আর.সি. লেন্সে খেলেন ১১৪টি ম্যাচ)

সারাবাংলা/এসআইটি/এসএস

কাতার বিশ্বকাপ কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ তিউনিসিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর