নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো ‘গ্রিন হাউজ’ উইকেট বসাবে বিসিবি
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:০৪
অতি বৃষ্টি বা অতি গরমের কারণে ক্রিকেট ম্যাচ যেমন বাঁধাগ্রস্থ হয় তেমনি ক্রিকেটারদের অনুশীলনও বিঘ্নিত হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে ক্রিকেটে ‘গ্রিন হাউজ’ উইকেট এনেছিল নিউজিল্যান্ড। তাদের দেখাদেখি পরে অস্ট্রেলিয়াও এটি করেছে। এবার বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে গ্রিন হাউজ উইকেট।
মিরপুরের একাডেমি মাঠে ‘গ্রিন হাউজ’ উইকেট বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এতে বর্ষার সময়ে বিশেষ পর্দা টেনে নির্বিঘ্নে অনুশীলন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। অতি গরমের সময় সেই পর্দা সরিয়ে গরম থেকে বাঁচতে পারবেন ক্রিকেটাররা। আগামী জুন মাসের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে আশাবাদি বিসিবি।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এমন তথ্য দিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। তিনি বলেন, ‘আমরা (বিসিবি) একাডেমিতে গ্রিন-হাউজ এফেক্টের যে অনুশীলন সুবিধা, যেটা নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে আছে, সেরকম স্থাপন করতে যাচ্ছি। উত্তর-দক্ষিণ দিক মিলিয়ে আমরা ২০টি উইকেট এর মধ্যে আনব। এই ২০টি উইকেটে ভরা বর্ষায়ও স্বাভাবিকভাবে খেলা যাবে। এটি জুনের মধ্যেই স্থাপিত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি একপ্রকার ইনডোর সুবিধা বলা যায়। তবে বর্ষাহীন সময়ে পর্দা খুলে নেওয়া যাবে। আর বর্ষায় পর্দা টেনে অনুশীলন করা যাবে। বর্ষার সময় আমাদের ইনডোর ছাড়া আর খুব একটা অনুশীলনের জায়গা থাকে না। আগামী এক বছরের মধ্যে এটাকে একটা সুন্দর পরিকল্পনায় আনতে চাচ্ছি। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মার্চের শেষ দিক থেকে এপ্রিলের মধ্যে চলে আসবে। পরে স্থাপনের জন্য মে মাস… হয়তো জুনের মধ্যে আমরা এটা ব্যবহার করতে পারব। আশা করি এই বর্ষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। ব্যবহার করলেই আমরা বুঝতে পারব কতটা উপকার পাওয়া যাচ্ছে।’
সুবিধা পেলে এই কার্যক্রমের পরিসর বাড়ানোর কথা বলে রাখলেন গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান, ‘আমরা এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নিচ্ছি। যদি এখানে সফল হই তাহলে অন্যান্য যে অনুশীলন সুবিধা তৈরি করছি, সেখানেও হয়তো ব্যবহার করতে পারব।’
সারাবাংলা/এসএইচএস