নিজেকে পাল্টিয়ে ফেলেছেন নাঈম
২৪ জুন ২০২৩ ১৫:২৩
২০১৯ সালের নভেম্বরে অভিষেকের পর জাতীয় দলের হয়ে টানা ম্যাচ খেলছিলেন নাঈম শেখ। ২০২২ সালের আগস্টে দল থেকে বাদ পরার আগে বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৩৫টি, ওয়ানডে দুটি, টেস্ট ১টি। স্ট্রাইক রেট বাড়াতে পারছিলেন না বলে দল থেকে বাদ পরেন। নাঈমকে স্ট্রাইক রেট নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়েছে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। ৩৫ টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈমের স্ট্রাইকরেট মাত্র ১০৩.৪২। ওয়ানডেতে ঠিক ৫০। আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজে আবারও দলে ডাক পেয়েছেন ২৩ বছর বয়সী তরুণ। নাঈম বললেন, নিজেকে এখন পাল্টে নিয়েছেন অনেকটাই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্প্রতি দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন নাঈম। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ ৯৩২ রান করেছেন ৯১.৬৪ স্ট্রাইক রেটে। এর আগে এনসিএল, বিসিএলেও রান পেয়েছেন।
২০১৯ সালের নাঈমের হাতে শট সংখ্যা ছিল সীমিত। স্পিনারদের সুইপ শট খেলতে পারতেন না। লফটেড ড্রাইফও খেলতে পারতেন না। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত শট না থাকলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া যে প্রায় অসম্ভব নাঈম সেটা ভালো করেই উপলব্ধি করেছেন।
দল থেকে বাদ পরার পর প্রচুর খেটেছেন। কিছু নতুন শটও আয়ত্ব করেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সুইপ শটে অনেক রান করতে দেখা গেছে নাঈমকে। এখন লফটেড ড্রাইভ খেলেন নিয়মিত। বদলে যাওয়া নাঈমের চোখে এখন বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস এই দুজন সেট। বিশ্বকাপে একজন বিকল্প ওপেনারের কথা ভাবা হচ্ছে। আর তাতে নাঈম ভালোভাবেই বিবেচনায় আছেন। আফগান সিরিজে ডাক পেয়েছেন সেই কারণেই। সুযোগটা লুফে নিতে চান নাঈম। বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন কার না থাকে। আমারও আছে। তবে আপাতত আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে ভাবছি।’
নিজেকে বদলে ফেলার গোল্প শোনাতে গিয়ে নাঈম বলেন, ‘আমার টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইক রেট নিয়ে একটা কথা উঠেছিল। আমি তাই আমার শরীরী ভাষা থেকে শুরু করে সবকিছুতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। যেন একনিষ্ঠ হয়ে খেলতে পারি, সেই চেষ্টা করেছি। দল থেকে বাদ পড়ার পর আমি এনসিএলে একটা সেঞ্চুরি করেছিলাম ১১০ বলে। এরপর বিসিএল ওয়ানডে ও প্রিমিয়ার লিগে সেটা ধরে রেখেছি। নতুন ধাঁচে খেলা শুরু করলে সেটার সঙ্গে ভালোভাবে মানিয়ে নিতেও সময় লাগে। বিসিএলে এসে সেটা ভালোভাবে অনুভব করতে শুরু করি। আমি সেই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলাম। আর প্রিমিয়ার লিগে তো দেখলেনই। মাথায় ছিল, হয়তো ব্যর্থ হব, কিন্তু আমার স্ট্রাইক রেট যেন ঠিক থাকে।’
সুইপ শট, লফটেড ড্রাইভে উন্নতি প্রসঙ্গে নাঈম বলছিলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগে সুইপ শট খেলেছি ১১টা, এর মধ্যে ৯টা চার হয়েছে। অথচ এর আগে আমি জীবনে মনে হয় ২৫টা সুইপও খেলিনি (হাসি)। সুইপ ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা কঠিন। আর কাভার আর মিড অফ দিয়ে এবার অনেক রান করেছি। এই জায়গায় উন্নতি করায় আমি ১৫-২০টা চার বেশি মেরেছি।’
সারাবাংলা/এসএইচএস