ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের জন্য দলে সেরা কম্বিনেশন খুঁজতে এবং বেঞ্চের ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখতে অনেকদিন ধরেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বাংলাদেশ দলে। গত আয়ারল্যান্ড সিরিজেও ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হয়েছে। কাল থেকে শুরু হতে যাওয়া আফগানিস্তান সিরিজেও যে সেই ধারা অব্যাহত থাকবে তার আভাস আগেই দিয়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও আজ বললেন একই কথা।
আগামীকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলার কথা জানিয়েছেন তামিম।
তিন ম্যাচে তিনটি পেস আক্রমণ দেখার সম্ভবনার কথাও জানান ওয়ানডে অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘পেসারদের মধ্যে সবাই ভালো করছে। এখানে হয়তো চেঞ্জ হতে পারে। তিন ম্যাচে হয়তো ভিন্ন পেস বোলিং কম্বিনেশন দেখতে পারবেন।’
বিকল্প ওপেনার হিসেবে এই সিরিজে দলে নেওয়া হয়েছে অনেকদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাঈম শেখকে। মিডল অর্ডারের জন্য নেওয়া হয়েছে অপর তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। এই দুজনকেই আফগানিস্তান সিরিজে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে এমন কথা বলেছিলেন হেড কোচ হাথুরুসিংহে। তামিমও বললেন তেমন আভাস।
তামিম বলেন, ‘এই একটা সিরিজে আমরা চেষ্টা করব সবাইকে সুযোগ দিতে। তবে এটা নিশ্চিত নয়। আমরা চেষ্টা করব নাঈমকে সুযোগ দিতে। বড় একটা ইভেন্টের আগে ২-৩টা ম্যাচ খেলতে পারলে ওদের জন্য ভালো।’
চট্টগ্রামের পিচ সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক। গত বছর এখানে সবুজ উইকেট বানিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। স্বাগতিকরা সেই সিরিজ জিতে ২-১ ব্যবধানে। এবারও সবুজ উইকেট প্রস্তুত হচ্ছে আফগানদের জন্য।
চট্টগ্রামে কদিন ধরে সবুজ উইকেটেই অনুশীলন করছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। উইকেটে বাড়তি ঘাস আছে। আগামীকাল যে উইকেটে খেলা হতে যাচ্ছে সেখানেই আছে বাড়তি ঘাস।
সবুজ উইকেটে পেস আক্রমণ দিয়ে আফগানদের ঘায়েল করার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। তামিম বলেন, ‘উইকেট ভিন্ন। ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়। এখানেও তেমনই হবে আশা করছি। তবে দুই দলের জন্য প্রথম ১০-১৫ ওভার একটু চ্যালেঞ্জিং হবে।’
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে দুই দল।