Monday 17 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শেকড়ের টানে হামজাকে এনেছি, জোর করিনি’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
১৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:১৭ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৫

ভক্তদের সাথে হাত মেলাচ্ছেন হামজা চৌধুরী । ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর পর আজ (সোমবার) সকালে  বাংলাদেশে ফিরলেন হামজা চৌধুরী, ফিরলেন নিজের পৈতৃক ভিটাতে। শেকড়ের টান, দেশের লাল সবুজ জার্সিটা গায়ে চাপানোর ঝোঁকে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবল থেকে বিমান বাংলাদেশের এক দীর্ঘ ফ্লাইটে উড়ে এলেন এই মিডফিল্ডার। ২০১৪ সালের পর দেশে ফেরা হামজা অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ফিফা থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন গত ডিসেম্বরে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে হামজার। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন তার বাবা দেওয়ান মোরশেদ চৌধুরী। দেশের হয়ে খেলার ব্যাপার তো আছেই, ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে তার ভাবনায় ছিল নিজের শেকড়ের কথাও।

বিজ্ঞাপন

আজ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামজার বাবা সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেকড় যাতে ভুল না যায় সে কারণেই তাকে আমি তাকে এখানে নিয়ে এসেছি। আমি তাকে জোর করিনি। সে নিজের ইচ্ছাতে এসেছে।’

ঐতিহাসিক এই দিনে বাকি সবার মতো আবেগে ভেসেছেন হামজার বাবাও, ‘আজকের দিনটা আমার জন্য আবেগের, আনন্দের। অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এই দিনটির জন্য। ছেলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলবে, একজন বাবা হিসেবে এর চেয়ে বড় গর্বের কিছু নেই।’

বিমানবন্দরে হামজার চাচা দেওয়ান গোলাম মাসুদ বলেন, ‘দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে খেলতে আসছে হামজা। লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে প্রথমে গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের নিজ বাড়িতে আসবে। আমাদের গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আমার ভাতিজাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে হামজার প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে সকাল থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে সংবাদকর্মীদের ভিড়। মূল ফটকের কাছে ‘হামজা! হামজা! স্লোগান তুলে অপেক্ষা করছিলেন সমর্থকগোষ্ঠী ‘বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রাস’।

সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে হামজাকে বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে সিলেটে। এর প্রায় চল্লিশ মিনিট পর কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি, ভিআইপি গেটের সামনে সাজানো পোডিয়ামের পেছনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে। অবশ্য প্রথম মিনিটে কথা আর বলবেন কী! সাংবাদিক আর ক্যামেরাম্যানদের হুটোপুটি; কে কার আগে হামজাকে নিজেদের ফ্রেমে বন্দী করবে তা নিয়ে। বাফুফে কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে অবশেষে খানিকটা স্বস্তি ফেরার পর শুরু হয় সংবাদ সম্মেলন।

সিলেট বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে শেষেহবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্নানঘাটে পৈতৃক বাড়ির উদ্দেশে সপরিবারে রওনা হয়ে সেখানে পৌঁছেও গেছেন হামজা। সেখানে একদিন থেকে আগামীকাল রাতে ঢাকায় টিম হোটেলে যোগ দেবেন তিনি।

সারাবাংলা/জেটি

বাফুফে হামজা চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর