অভ্যুত্থানের সময়ে সাফারি পার্কে ঘোরাঘুরি, ব্যাখা দিলেন সাকিব
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৮ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২৫
গত বছরের ০২ আগস্ট, ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুরো দেশ তখন উত্তাল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ নেমে আসেন রাজপথে। সবারই দাবি এক, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনয়ন পেয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান তখন ছিলেন পরিবারের সাথে। তার নীরবতা পড়েছিল ব্যাপক সমালোচনার মুখে।
তবে সেদিনই সাকিবকে ঘুরতে দেখা যায় কানাডার টরন্টোর এক সাফারি পার্কে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। একে তো দেশের সেই অস্থির অবস্থায় সাকিব কিছুই বলেননি, সাথে সেই জরুরি মুহূর্তে সাকিবের হাস্যোজ্জল ছবি উস্কে দেয় সমালোচনার আগুন। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তন, সাকিবের দেশে ফিরতে চেয়েও না পারা, হত্যা মামলার আসামী হওয়া-সহ বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে সাকিবকে ঘিরে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের ক্রিকেটের আলোচনার বাইরে থেকে সাকিব অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন দেশের শীর্ষ এক ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে। বিশদ সেই সাক্ষাৎকারে সাকিব জানালেন, সাফারিতে ঘুরতে গিয়ে পোস্ট করা সেই ছবির গল্প, জানিয়েছেন তখনকার উত্তাল অবস্থার পর নিজের নীরবতা নিয়েও।
কানাডার সাফারি পার্কে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম আমি। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে গেলাম, এরপর কানাডা। এই ছবিটা কানাডায় ঘুরতে গিয়েই তোলা। যদিও আমি নিজে পোস্ট করিনি, তবুও দায়টা আমিই নিচ্ছি। আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়ার। তবে পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন সাকিব। পরবর্তীতে সেই পোস্ট ডিলিটও করেন সাকিব পত্নী। তবে সাকিব ভাবেননি মানুষ এত তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সেই ছবি নিয়ে, ‘আসলে আমি ভাবিনি এভাবে ছবিটা ছড়িয়ে পড়বে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া আসার পর বুঝলাম, পরিস্থিতি কতটা কঠিন। ঐ সময়ে এই ছবিটা দেখে অনেকেই কষ্ট পেয়েছে, এটাও আমি শুনেছি। তবে দিনশেষে এটা ভুল ছিল। অবশ্য অন্য কেউ সেই পরিস্থিতিতে পোস্ট করলেও, আমার ছবিটাই বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। মানুষটা আমি বলেই হয়তো এমন হয়েছে।’
সারাবাংলা/জেটি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন সাকিব আল হাসান