এবার নতুন কিছু দেখতে পাবেন: শান্ত
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৩৭ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৪২
বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খেলছে সেই ২০০০ সাল থেকে। কিন্তু এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের উন্নতি বলার মতো নয়। এখনো নিজস্ব টেস্ট সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে কিনা তা নিয়েই উঠে প্রশ্ন। প্রতিটি সিরিজের আগে ‘উন্নতি’ করার বার্তা দেন অধিনায়করা, কিন্তু সেই উন্নতি আর দেখা যায় না। রাত পোহালে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটি। নাজমুল হোসেন শান্ত তার আগে টেস্ট নিয়ে বাড়তি আগ্রহের কথা জানালেন।
টেস্টে নিজস্ব ধরন গড়ে তুলতে চায় বাংলাদেশ। শান্ত বলেছেন, মাঠে এবার নতুন কিছু দেখাবে বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাল থেকে জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এত বছর টেস্ট খেলার পরে যখন টেস্ট সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয়, এটা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে আমার মনে হয়, যদি গত বছর থেকে শুরু করি, আমরা চারটা ম্যাচ জিতলাম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ১২টি টেস্টের মধ্যে। চারটি ম্যাচই বড় দলের বিপক্ষে।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি থাকবে, তেমন পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। এবং নতুন এই পরিকল্পনার প্রতিফলনটা মাঠেই দেখা যাবে, বলেছেন শান্ত।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘গত বছর থেকেই কীভাবে টেস্ট দলটায় একটা সংস্কৃতি তৈরি করতে পারি বা আমরা কীভাবে খেলাটা খেলতে চাই এই বিষয়গুলো নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। নতুন কোচ আসার পরে তার একটা পরিকল্পনা আছে, সে আসলে কীভাবে দলটাকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, যেগুলো এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি আমরা যারা খেলছি, আমাদের একটা ইনপুট তো ছিলই। আমি আশা করব এ বছর যে পাঁচ-ছয়টা টেস্ট ম্যাচ আছে, মাঠে নতুন কিছু আপনারা দেখতে পাবেন ইনশা আল্লাহ।’
গত বছর ১০টি টেস্ট খেলে তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, তিনটিই বিদেশে। পাকিস্তানে গিয়ে দুটি টেস্ট জেতার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে এক টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।
‘নতুন কিছু’ বলতে শান্ত বুঝালেন এখন বাংলাদেশ শুধু জয়ের জন্যই খেলে, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা চিন্তা করি যে আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ যেন জেতার জন্য খেলি। এখানে কোনো স্বার্থবাদী ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা আমাদের কারও নেই। আমি যেটা একটু আগেও বললাম যে নতুন কিছু আমরা চেষ্টা করব এবং এটাও শুরু হবে আগামীকাল থেকে। ওটার জন্য যে ধরনের মনমানসিকতা, প্রস্তুতি থাকা দরকার, ক্রিকেটাররা তা নিচ্ছে। পাশাপাশি আমি আশা করব যে যাঁরা ম্যানেজমেন্টে আছেন বা যাঁরা ক্রিকেট বোর্ডে আছেন, তাঁরাও আমাদের এই বিষয়গুলো নিয়ে সহযোগিতা করবেন।’
‘আমি বিশ্বাস করি, যেহেতু আমাদের গত ২০-২২ বছরে টেস্ট ক্রিকেট একই রকম ছিল, খুব বেশি উন্নতি হয়নি। তাই এই জায়গাটাতে নিশ্চয়ই আমাদের কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে। ওই পরিবর্তনটাই করার চিন্তা করছি। আমি আশা করব যে এই পরিবর্তন আমাদের টেস্ট ক্রিকেটে কাজে লাগবে।’- যোগ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাওয়া জয়টার উদাহরণ টেনে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘পরিস্থিতি যেমনই হোক, জেতার মনমানসিকতা থাকা। ২০ উইকেট নেওয়ার জন্য বোর্ডে যেমন রান থাকা দরকার, ওই রান যেন আমরা ব্যাটিং ইউনিট দিতে পারি—এই বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ–আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি যেমনই থাক… শরীরী ভাষা… একটু আগে যেটা নিয়ে কথা হল যে আমরা যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে জিতলাম, জেতার জন্য সবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও রকম অ্যাগ্রেসিভ ছিল। ওই জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ওই জিনিসগুলো আমরা কীভাবে প্রতি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে করছি, এটা দেখার বিষয়। আমাদের ক্রিকেটার যারা আছি, এই জিনিসগুলো টানা করার চেষ্টা করব।’
সারাবাংলা/এসএইচএস