Wednesday 11 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ


২ এপ্রিল ২০১৮ ২০:৩৩ | আপডেট: ৩ এপ্রিল ২০১৮ ১০:৫১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

।। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: জাতির জনকের অবমাননা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসন আমল নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য পরিবেশনের দায়ে অভিযুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শীর্ষক প্রবন্ধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দফতর থেকে পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে ‘এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে’।

এর আগেও ২০১৬ সালে ৩০ মে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ‘স্মৃতিময় জিয়া’ শিরোনামে এক লেখাতেও এই অধ্যাপক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছিলেন।

অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খানের নিবন্ধ ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ প্রকাশিত হওয়ার পর চারিদিকে সমালোচনা ও বিক্ষোভ শুরু হয়। ছাত্রলীগ ২৭ মার্চ ব্যবসায় অনুষদের সামনে বিক্ষোভ করে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। একইদিনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের কাছে দাবি জানায়।

এ ঘটনার পর অধ্যাপক মোর্শেদ খান ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’-তে অসচেতনতাবশত কিছু লাইন লিখেছেন উল্লেখ করে ২৭ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লেখাটির জন্য ক্ষমা চান এবং লেখা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

অব্যাহতির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে তার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

সারাবাংলা/আরএম/এমআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর