হলিউডের তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও মানেই ভক্তদের মাঝে এক অন্য রকম উন্মাদনা। টাইটানিক থেকে শুরু করে দ্য রেভেন্যান্ট—প্রতিটি চরিত্রে নিজের অভিনয়শৈলীতে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। এবার আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন এক ভিন্নরূপে। সিনেমার নাম ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ছবিটি। সুখবর হলো, বাংলাদেশের দর্শকরাও একই দিনে এটি উপভোগ করতে পারবেন স্টার সিনেপ্লেক্সে। ফলে হলিউডপ্রেমীরা দেশের ভেতরেই গ্লোবাল প্রিমিয়ারের স্বাদ নিতে পারবেন।
এই মহাকাব্যিক অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী ছবিটি পরিচালনা করেছেন খ্যাতিমান নির্মাতা পল টমাস অ্যান্ডারসন। জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর ধরে এই সিনেমার পরিকল্পনা ও নির্মাণ করেছেন তিনি। সিনেমাটি অনুপ্রাণিত হয়েছে ১৯৯০ সালে প্রকাশিত টমাস পিঞ্চনের উপন্যাস ভিনল্যান্ড থেকে।
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন শন পেন, বেনিসিও দেল তোরো, রেজিনা হল, টেয়ানা টেলর, চেজ ইনফিনিটি প্রমুখ। এই ভারসাম্যপূর্ণ কাস্ট সিনেমাটিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
সিনেমার কাহিনি এগিয়েছে সাবেক বিপ্লবীদের একটি দলকে ঘিরে, যারা ১৬ বছর পর আবার একত্রিত হয় তাদের এক সহযোদ্ধার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য। থ্রিল, সাসপেন্স আর আবেগের মিশেলে তৈরি হয়েছে টানটান উত্তেজনার গল্প।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বলেছেন, ‘এটি আমাদের সমাজের আয়না। আমাদের সংস্কৃতির বিভাজন ও চরম মেরুকরণকে ফুটিয়ে তুলেছে সিনেমাটি। যদিও নির্দিষ্ট কোনো বার্তা নেই, তবে চরমপন্থার এক ধরনের প্রভাব এখানে কাজ করেছে।’
তিনি আরও জানান, যদিও এটি রাজনৈতিক ঘরানার সিনেমা, তবে সরাসরি রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য নেই। বরং পরিচালক বিষয়গুলোকে বিনোদনের ছদ্মবেশে হাজির করেছেন।
শুধু অভিনয় নয়, আলোচনায় এসেছে ডিক্যাপ্রিওর পারিশ্রমিকও। জানা গেছে, এই ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি নিয়েছেন ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্বজুড়ে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর ভক্ত অনুরাগীদের মতো বাংলাদেশি দর্শকেরাও এই সিনেমার জন্য দিন গুনছেন। নতুন গল্প, ভিন্ন আবহ এবং চমকপ্রদ কাস্ট—সব মিলিয়ে ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’ ইতিমধ্যেই আলোচনায়।
হলভর্তি দর্শকদের করতালি আর নিঃশ্বাস আটকে রাখা প্রত্যাশাই বলে দিচ্ছে—এই সিনেমা কেবল বিনোদন নয়, বরং হতে চলেছে সময়ের একটি ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা।