আমজাদ হোসেনকে নিতে প্রস্তুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
২২ নভেম্বর ২০১৮ ১৪:৩৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
গুরুতর অসুস্থ নির্মাতা, অভিনেতা, সাহিত্যিক আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ব্যাংককের যে হাসপাতালে আমজাদ হোসেন চিকিৎসা করাতেন, সেই হাসপাতালেই তাকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রেখেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। সে লক্ষ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। এখন ডাক্তাররা সবুজ সংকেত দিলেই চিকিৎসার জন্য তাকে ব্যাংক নিয়ে যাওয়া হবে। এমনটাই জানালেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংককের হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কাগজ মেইল করে পাঠিয়েছে। তারা সব দেখে অন্যান্য প্রস্তুতিসহ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রেখেছে। আমরা বললেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। বাবার শারীরেক অবস্থার কথা চিন্তা করেই আমরা তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে চাই।’
গতকাল (২১ নভেম্বর) রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসেছিলেন আমজাদ হোসেনকে দেখতে। আজ (২২ নভেম্বর) অধ্যাপক ডাঃ কাজী দ্বীন মোহাম্মদও এসেছিলেন তাকে দেখার জন্য।আমজাদ হোসেনকে দেশের বাইরে কখন নেয়া হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে দোদুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন একটা মিটিংয়ে আছেন। সেখান থেকে বের হলে ডা. লেনিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
গতকাল (২১ নভেম্বর) বিকাল ৫টায় অসুস্থ আমজাদ হোসেনকে দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম। সরাকারের পক্ষ থেকেই আমজাদ হোসেনকে দেখতে আসছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
উল্লেখ্য ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ১৮ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হন আমজাদ হোসেন। শুরু থেকেই লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।
গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সারাবাংলা/পিএ/পিএম