Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে


৩০ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:৩০

আমজাদ হোসেন

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

ব্রেন স্ট্রোক করে দেশের হাসপাতাল ভর্তি ছিলেন গুণী নির্মাতা, অভিনেতা, সাহিত্যিক আমজাদ হোসেন। ২৮ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আমজাদ হোসেনের।

ব্যাংকক থেকে সারাবাংলার সঙ্গে কথায় এমনটি জানিয়েছেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি বলেন, ‘বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আমরা তিনদিন ধরে আছি। এই তিন দিনে বাবার ব্রেনে যে সমস্যা ছিল তা এখন নিয়ন্ত্রণে। তেমনটি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রেসার এবং রক্ত চলাচল ভালো আছে।’

তবে কিছু সমস্যা নতুন করে তৈরি হয়েছে বলে জানান দোদুল। তিনি বলেন, ‘বাবার শরীরের বাইয়ে যেমন হাতে, পায়ে ইনফেকশন হয়েছে। এটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। শরীরের ভেতরেও কিছু ইনফেকশনের কথা বলেছেন তারা। এটাই এখন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছেন চিকিৎসকরা।’

তবে এই সমস্যাটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন দোদুল। সর্বপরি এখন আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থা উন্নত হচ্ছে। চিকিৎসার এই কাজে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে রয়েছেন তার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল এবং সোহেল আরমান।

১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হলে, গুরুতর অবস্থায় আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।

২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।

বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) দিয়ে প্রশংসিত হন।

বিজ্ঞাপন

গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।

এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

সারাবাংলা/পিএ

অভিনেতা আমজাদ হোসেন চলচ্চিত্র নির্মাতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর