৬৪টি জেলায় স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব
৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৫
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট ।।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি জেলায় ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৮’ আয়োজন করা হয়েছে। দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু ও নির্মল চলচ্চিত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবেই শিল্পকলার এই আয়োজন। ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ৮ দিনব্যাপী আয়োজন, চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে কাঙ্গালিনী সুফিয়া
এই চলচ্চিত্র উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরতে আজ (৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। অনুষ্ঠানে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৮’ উপলক্ষে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির সম্মানীত সদস্যবৃন্দ উৎসবে ৪৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২২টি প্রামাণ্যচিত্রসহ ৭০টি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছেন। চলচ্চিত্র নির্বাচক কমিটির সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদের উপদেষ্টা সাজ্জাদ জহির, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের এ কে রেজা গালিব, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন মামুন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের সহকারী পরিচালক চাকলাদার মোস্তফা আল মাস্উদ।
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি পুরষ্কার প্রদান করা হবে। পুরষ্কার প্রদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী’কে চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা হলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা জনাব মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক জনাব ফরিদুর রহমান, চলচ্চিত্র গবেষক জনাব অনুপম হায়াৎ, কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডমির সচিব এবং নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক জনাব মো: বদরুল আনম ভূঁইয়া।
স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরষ্কারের অর্থমূল্য থাকবে ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরষ্কার ২৫ হাজার টাকা। আগামি ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী দিনে পুরষ্কার ঘোষণা করা হবে এবং উৎসবে অংশগ্রহণকৃত চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাদের সনদপত্র প্রদান করা হবে।
সারাবাংলা/পিএ
আরও পড়ুন :
অস্কার উপস্থাপনা করবেন কেভিন হার্ট
এক সপ্তাহে ৫০০ কোটির ক্লাবে ‘২.০’
১৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে ‘জন্মভূমি’
বিদ্যা হচ্ছেন শকুন্তলা দেবী
তারেক মাসুদকে গুগলের সম্মাননা