‘আবেদন করলে কমবে সদস্য ফি’
২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:২০
এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট।।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালকদের সংগঠিত করতে ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’। তারপর থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালকদের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নেতাদের হাতে থাকে পরিচালনার দায়িত্ব।
কোনো পরিচালক যদি ছবি নির্মাণ করতে চান তাহলে তাকে পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হয়। সেই সঙ্গে একটা বড় অংকের টাকা ফিস দিতে হয়। সদস্য হওয়ার জন্য পরীক্ষা আর বড় অংকের টাকা দেয়ার বিপক্ষে অনেক পরিচালক। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেছেন এর কারণে অনেক তরুণ পরিচালক সিনেমা নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘সব সংগঠনেই সদস্য হতে হলে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। কারণ সদস্যদের টাকাতেই অফিস চলে। পরিচালক সমিতির মাসিক খরচ প্রায় দুই লাখ টাকার মতো। স্টাফদের বেতন, প্রতিদিন আপ্যায়ন খরচ, চিঠি বিলি করাসহ নানারকম কাজে এই টাকা খরচ হয়। তবে কোন পরিচালক যদি এই টাকা না দিতে পারেন আর তিনি যদি অপারগতার কারণ জানিয়ে আবেদন করেন তাহলে পরিচালক সমিতি তার ফি কমিয়ে দেয়। অতীতে অনেককেই কমিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যদি শুরুতে কমিয়ে রাখা হয় তাহলে যাদের সামর্থ্য আছে তারা দিতে রাজি হবেন না। আর প্রয়োজনীয় অর্থ না উঠলেতো সংগঠন চালানো যাবেনা।’
নতুন নির্মাতাদের পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন আগের মতো পরীক্ষা নেয়া হয় না। আলাপ আলোচনা করা হয়। বুঝতে চেষ্টা করা হয় যিনি আবেদন করেছেন তিনি পরিচালক হওয়ার যোগ্য কিনা! কিছু না জেনে তো আর সিনেমা নির্মাণ করা যায় না। যদি যাচাই-বাছাই না করে ঢালাওভাবে সদস্যপদ দেয় হয় তাহলে হিতে বিপরীত হয়। অনেকে পরিচালকের সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে।’
সারাবাংলা/আরএসও/পিএম