পদ্মাপুরাণ: নারী-নদী-জীবন যেখানে একসঙ্গে বহমান
৬ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫৯
পদ্মানদীর অববাহিকায় থাকা মানুষগুলোর বর্তমান অবস্থা, তাদের মানসিকতা, আর্থিক অবস্থা এবং জীবনধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে সিনেমা ‘পদ্মাপুরাণ’। পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে প্রকাশ পেয়েছে ছবিটির পোস্টার।
পোস্টারে দেখা যাচ্ছে এক নারী পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি অন্তঃসত্ত্বা। মাথায় চুল নেই, হাতের নখ বড় বড়। ছবির পোস্টারে নামের ওপর ছোট ছোট শব্দে লেখা ‘হার না মানা নদীর গল্প’। কিন্তু ছবির নাম ও বিষয়বস্তুর সঙ্গে পোস্টারের যোগসূত্র কোথায়?
আরও পড়ুন : শাকিবের প্রজেক্টর মেশিন মানে একই, খরচে কম
প্রাসঙ্গিকতা বলার আগে রাশিদ পলাশ তার সিনেমার বিষয় সম্পর্কে অন্য কিছু তথ্য দিলেন। তিনি সারাবাংলাকে বললেন, ‘আমরা পদ্মাপাড়ের বর্তমান অবস্থাটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পদ্মার পানি কমে যাওয়ার নদীটি যেমন মরে গেছে একই সঙ্গে বদলে যেতে শুরু করেছে নদীপারের মানুষের জীবন। এই বদলগুলোই ফ্রেমে আনতে চেয়েছি আমরা।’
এবার বিষয়বস্তুর সঙ্গে পোস্টারের যোগসূত্র দেখালেন পরিচালক। তিনি জানালেন, এখানে নদীর সঙ্গে নারীর একটা মিল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। নদী সবসময় বহমান আর সেটাই স্বাভাবিক। যখনই নদীর সঙ্গে অন্যায় করা হয়, তখনই নদীর রূপ, রং, চেহারা, স্বভাব পরিবর্তন হয়ে যায়। পোস্টারে যে নারীকে দেখা যাচ্ছে, তাকে দেখেও কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। নারী-নদী-জীবনকে এখানে একসঙ্গে দেখানোর একটা চেষ্টা করা হয়েছে।
কুবের, মালা, কপিলা বা হোসেন মিঞাদের ফেলে আসা সেই পদ্মাপারের জীবন এখন কেমন? চরিত্রগুলো নেই, কিন্তু সেই জেলে জীবন, শাষন-শোষন, অভাব, কিছু আনন্দ–ভালোবাসা, এগুলো কী সব আগের মতোই? এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়া গেলেও একটা পরম্পরা পাওয়া যাবে ‘পদ্মাপুরাণ’ ছবিতে।
ছবির গল্প রাশিদ পলাশের। ঈদুল আজহার পরেই ছবিটি দেওয়া হবে সেন্বরে। সব ঠিক থাকলে অক্টোবরের শেষধাপে ছবিটি আসতে পারে প্রেক্ষাগৃহে।
ছবিতে শম্পা রেজা অভিনয় করছেন শিখন্ডী (তৃতীয় লিঙ্গ) সম্প্রদায়ের প্রধানের চরিত্রে। আর চম্পা অভিনয় করছেন একজন মাদক ব্যবসায়ীর ভুমিকায়। ছবিতে আরও আছেন প্রসূন আজাদসহ অনেকে।
আরও পড়ুন :
. মোদি সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে নিয়ে অক্ষয়ের সিনেমা
. শাকিব খানের ছবির বিষয়ে কিছু জানেন না জয়দ্বীপ মুখার্জি
. ঈদে ‘আসেন মিষ্টিমুখ করি’
. মুখ ফসকে বলা ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন সোনাক্ষী সিনহা