Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শাকিব খান ছাড়া ইন্ডাস্ট্রির সবাই স্ট্রাগল করছেন: এবিএম সুমন


৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:০০ | আপডেট: ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এবিএম সুমন। ছবি: ফেসবুক

জনপ্রিয় গোয়েন্দা উপন্যাসের ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রে অভিনয়ের একটি ইচ্ছা ছিল এবিএম সুমনের মনের ভেতর। যা সুপ্ত হয়েছিল এতদিন। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন, এদেশে কখনো ‘মাসুদ রানা’কে নিয়ে সিনেমা নির্মিত হলে অডিশন দেবেন। 

অবশেষে এবিএম সুমনের বাসনা পূরণ হলো। দেশে নির্মিতব্য ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার ‘মাসুদ রানা’ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটাবেজ (আইএমডিবি) এমন তথ্যই দিচ্ছে।‘মাসুদ রানা’ সিনেমার অডিশন, অভিনয়ের সম্ভাবনা আর ক্যারিয়ার নিয়ে এবিএম সুমন কথা বলেছেন সারাবাংলা ডটকমের সঙ্গে। 


‘মাসুদ রানা’ চরিত্রে আপনার অভিনয় করার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ধরে নিয়েছেন, আপনিই হচ্ছেন ‘মাসুদ রানা’। আইএমডিবিও একই কথা বলছে। আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।
আসলে বিষয়টি নিয়ে এখন কিছু বলা ঠিক হবে না। কোনোকিছু  চূড়ান্ত নয়। আমি চরিত্রটির জন্য অডিশন দিয়েছি, এতটুকুই। এরবেশি আমি নিজে কিছু ভাবছি না। পেশাদার অভিনেতা হিসেবে আমি আগে থেকে কিছু ভাবতে পারি না। এখন যদি সিনেমার টিম মনে করে আমি ‘মাসুদ রানা’ চরিত্রটির জন্য পারফেক্ট তাহলে তো ভালো কথা। খুশির খবর। তবে এখনই সেই খুশির খবর দিতে পারছি না।

বিজ্ঞাপন

অডিশন প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল?
গেলো ২২ আগস্ট আমি জাজ মাল্টিমিডিয়ার অফিসে অডিশন দেই। অডিশনে আমাকে ‘মাসুদ রানা’ কেন্দ্রিক কিছু প্রশ্ন করা হয়। আমি উত্তর দিয়েছি। অভিনয় ও ফাইট করতে হয়েছে। তখন ছবির পরিচালকও ছিলেন। তিনি আমার সংলাপের কাউন্টার দিয়েছেন।


আরও পড়ুন :  আনন্দ আয়োজনে ‘বটতলা’র ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


বড় পর্দায় ‘অচেনা হৃদয়’ ছবির মাধ্যমে পা রাখলেও আপনি আলোচনায় এসেছেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির মাধ্যমে। অভিনয়ের সময় কী প্রত্যাশা করেছিলেন যে, ছবিটি আপনাকে আলোচনায় নিয়ে আসবে?
যখন কোনো আর্টিস্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করতে যায় তখন তার সেই চরিত্রটির সম্ভাবনা যাচাই করা প্রধান একটি কাজ। আমার মনে হয়েছিল আশফাক চরিত্রটি আমার ক্যারিয়ারের জন্য নতুন কিছু যোগ করতে পারে।

অডিশন শেষে মাসুদ রানা টিমের সঙ্গে এবিএম সুমন। ছবি: ফেসবুক


‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির পর অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন এবিএম সুমনকে নিয়ে পরিচালকরা নতুন করে ভাববেন। কিন্তু কেনো জানি মনে হচ্ছে, পরিচালকরা আপনাকে একটু এড়িয়ে যেতেই চাইছেন।
দেখুন, পরিচালক যদি মনে করেন ওমুক চরিত্রটির জন্য আমি পারফেক্ট তখন তিনি অবশ্যই আমাকে ডাকবেন। তাই বলে এটা বলতে চাই না যে, পরিচালকরা আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, এখনো সময় ফুরিয়ে যায়নি। সামনে আরও সময় পড়ে আছে।

আর হ্যাঁ, আমি ‘ঢাকা অ্যাটাক’—এর পর বেশ কয়েকটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সাইনিং মানিও নিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে ছবির চিত্রনাট্যসহ বেশিকিছু বিষয় ভালো লাগেনি বলে চুক্তি বাতিল করেছি। সাইনিং মানিও ফেরত দিয়েছি।

টেলিভিশন নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করছেন। সিনেমায় পাকাপোক্ত জায়গা তৈরি হয়নি। সেক্ষেত্রে আপনাকে কী স্ট্রাগলিং অ্যাক্টর বলা যেতে পারে?
একটি নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করেছি। বিজ্ঞাপনে এখনো কাজ করে যাচ্ছি। চলচ্চিত্রে আসার পর নাটকে আর অভিনয় করিনি। সিনেমায় পাকাপোক্ত জায়গা করে নেয়ার জন্য স্ট্রাগল করছি। এটা বলতেই পারেন। শুধু আমি না, একমাত্র শাকিব খান ছাড়া ইন্ডাস্ট্রির সবাই স্ট্রাগল করছেন। এমন অনেকে আছেন যারা আমার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন, কিন্তু স্ট্রাগল থামছে না। সুতরাং এটা চলবে। যতদিন না শাকিব খানের মতো জনপ্রিয়তা না পাওয়া যায়। শাকিব খান একমাত্র নায়ক, যার ছবির জন্য মানুষ অপেক্ষা করে বসে থাকেন।

‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় আশফাক চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন এবিএম সুমন। ছবি: সংগৃহীত


স্ট্রাগলিং পিরিয়ড আসলে কেমন?
আমি স্ট্রাগল করছি ঠিক। কিন্তু এই স্ট্রাগলিং যে খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক, তা কিন্ত নয়। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সিনেমা হয় না, সে ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল করার সুযোগ থাকে না। যদি একের পর এক ছবি নির্মিত হতো। আর নিয়মিত অডিশন দিতাম, রিজেক্ট হতাম, তাহলে স্ট্রাগলটা বুঝতে পারতাম।

ঢাকাই ছবিতে তো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অডিশন নেয়া হয় না। চাহিদা আর সম্পর্কের খাতিরে কাস্টিং করা হয়।
আমি ‘মাসুদ রানা’ ছবির জন্য অডিশন দিয়েছি। এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আমি উপভোগ করেছি। যদি দর্শক চাহিদা ও সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে চরিত্র নির্বাচন করা হয় তাহলে ওই অভিনেতাকে দিয়ে মানানসই চরিত্রে অভিনয় করানো যাবে না। ডি’ক্যাপ্রিওকে দিয়ে কিন্তু জেমস বন্ড হতো না। এখন যদি অডিশন না নিয়ে জেমস বন্ডের প্রযোজকরা বলতেন, ডি’ক্যাপ্রিওকে দিয়ে জেমস বন্ড করানো হবে তাহলে ছবিটি ডিজাস্টার হতে পারত।
আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অডিশন সিস্টেমটা জোরালোভাবে চালু করা উচিত। নতুবা নতুন শিল্পী তৈরি হবে না। ওই এক শিল্পীকে দেখে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে। ফলে একঘেয়েমি হয়ে যাবে। একসময় তাকেও আর মানুষ দেখতে চাইবে না।

মাসুদ রানা রূপে এবিএম সুমন। ছবি: সংগৃহীত


অভিনেতা হিসেবে চাওয়া–পাওয়ার হিসেব করেন?
ওভাবে চাওয়া–পাওয়ার হিসেব করি না। তবে পছন্দের কিছু কাজ আছে যা করতে ইচ্ছে হয়। ‘মাসুদ রানা’ তার ভেতরে একটা। সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু হওয়া থেকে আমার এই চরিত্রটিতে অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল। তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কখনো মাসুদ রানা চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়, আর যদি অডিশন নেয়, তাহলে আমি অডিশন দেবো। সে ইচ্ছাটা এখন পূরণ হল।


আরও পড়ুন :

.   বিয়ের পর শুটিংয়ে ফিরলেন নুসরাত জাহান

.   সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক আফজাল হোসেন

.   জন্মদিনে স্মৃতিতে অম্লান মহানায়ক উত্তম কুমার

.   গণ্ডি পেরোবেই ‘গণ্ডি’!


এবিএম সুমন টপ নিউজ সাক্ষাৎকার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর