সঞ্জয় দত্তের ফুসফুসের ক্যানসার পৌঁছেছে চতুর্থ পর্যায়ে। যেখান থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ! হাসপাতাল সূত্রের এই খবরই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল সঞ্জয় অনুরাগীদের কপালে। সেই সঙ্গে বলিউডের বেশ কিছু পরিচালকের মাথাতেও যেন বাজ পড়েছে। কারণ? এই মুহূর্তে ৭৩৫ কোটি টাকার লগ্নি রয়েছে সঞ্জয় দত্তের উপর। অতঃপর অভিনেতার অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তারা চিন্তিত তো বটেই, সেই সঙ্গে এতগুলো প্রজেক্টের ভবিষ্যৎও রীতিমতো আশঙ্কায়!
সঞ্জয় দত্তের অসুস্থতায় আঁটকে গেলো বিশাল অংকের লগ্নি। এর মধ্যে ‘শামসেরা’র বাজেট ১৪০ কোটি টাকা এবং ‘কেজিএফ চ্যাপটার ২’র বাজেট ১৫০ টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি বাজেট ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবির- ৩০০ কোটি টাকা। যে ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে রয়েছেন অক্ষয় কুমার ও মানুষি চিল্লার।
এখনও পর্যন্ত তিন দিনের শুটিং বাকি রয়েছে বিগ বাজেটের ‘কেজিএফ চ্যাপটার ২’ ছবির। সঞ্জয় দত্তের জন্মদিন উপলক্ষে এই ছবির ফার্স্ট লুক মুক্তি পেয়েছিল ২৯ জুলাই। ৬ দিনের শুটিং বাকি রয়েছে ‘শামসেরা’ ছবির। অন্যদিকে ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবির মাত্র ৪০ শতাংশ শুটিং হয়েছে। বাকি রয়ে গেছে এই ছবির সিংহভাগ অংশের কাজ। ‘পৃথ্বীরাজ’ নির্মাতারাই এখন বেজায় বিপাকে। তাদের বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির ঘোষণা হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। মাঝে লকডাউনের জন্য বন্ধ ছিল শুটিং। কিন্তু এখন? অভিনেতাই যেখানে গুরুতর অসুস্থ, সেখানে শুটিং কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কোনও ঠিক নেই!
কিন্তু না! কাজের প্রতি নিষ্ঠা আর দর্শকের প্রতি দায়বদ্ধতাই আসল। তাই বোধহয় ক্যানসারেও দমে যায়নি সঞ্জয় দত্তের ‘ডেডিকেশন’। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থাতেই ‘সামসেরা’ ছবির শুটিং শুরু করলেন অভিনেতা। বাকি ছিল ৬ দিনের শুট। তা শেষ করতেই এবার শুটিং ফ্লোরে নেমে পড়লেন সঞ্জয় দত্ত।
এর আগে জানা গিয়েছিল, সঞ্জয় দত্তের প্রথম পর্যায়ের কেমোথেরাপি সফল হয়েছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্যায়ের কেমোথেরাপি শুরু করবেন ক্যানসার আক্রান্ত অভিনেতা। প্রথমটায় জানা গিয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব আমেরিকা যাবেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু পরে স্ত্রী মান্যতা জানিয়ে দিয়েছেন যে, এক্ষুণি নয়, আগে মুম্বাই থেকেই চিকিৎসা চলবে সঞ্জয়ের। তারপর পরিস্থিতি বুঝে আমেরিকায় যাবেন তারা।