আনুষ্ঠানিক যাত্রা ‘খনা অর্গানিক’র, অনেক দূর নিতে চান জ্যোতি
১৫ এপ্রিল ২০২১ ১৫:০১
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি গত বছর শুরু করেছিলেন ‘খনা অর্গানিক’। কৃষিপণ্য নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটি করেছিলেন। সম্প্রতি সে প্রতিষ্ঠানটির লোগো উন্মোচন করেছেন জ্যোতি। এর মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
‘করোনা মহামারীর শুরুর দিকে মানুষের সঠিক স্বাস্থসেবার লক্ষ্যে রাসায়নিকমুক্ত,বিষমুক্ত খাদ্যপণ্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষেই খনা অর্গানিকের যাত্রা শুরু। একবছরে আশাতীত ভোক্তা ও তাদের সমর্থনে আমরা এখন আরো বেশী উৎসাহিত। লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে আমাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো পয়লা বৈশাখ থেকে’— বলেন জ্যোতি।
বাঙালী নারীশক্তির ইতিহাসে অনন্য প্রাচীন কবি ও কিংবদন্তী জ্যোতির্বিদ খনা, যার বচন বা কথার ওপর ভিত্তি করে চালিত হতো প্রাচীন বাংলার কৃষি। সেই মহয়সী নারীর নামেই আমাদের কৃষি প্রতিষ্ঠানের নামকরন করা হয়েছে ‘খনা অর্গানিক’।
জ্যোতি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। কিন্তু আমি আস্তে আস্তে এগোতে চাইছি। আগে বোঝার চেষ্টা করছি মানুষ কী ধরণের পণ্য চাইছেন। তাদের চাহিদানুযায়ী সব ধরণের কৃষিপণ্য নিয়ে আসার ইচ্ছে আছে আমার।’
ময়মনসিংহের গৌরিপুরে জ্যোতির বাড়ি। সেখানে গত বছর যখন করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলো তখন কিছু ওষুধি ফল গাছ দিয়ে শুরু করলেন। কিন্তু তখন চিন্তা করলেন বসে না থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে কাজ করা যায়। সে জায়গা থেকে শুরু ‘খনা অর্গানিক’।
‘আসলে শুধু যে লকডাউনের কারণে শুরু করেছি তা নয়। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনয় থেকে অবসর নিলে কৃষি কাজ করার। কিন্তু লকডাউনের সময় আমার উপলব্ধি হলো, আগামী দিনে বিশ্বে কৃষিপণ্যের চাহিদা থাকবে’— বলেন জ্যোতি।
তার ‘খনা অর্গানিক’-এ বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে দেশি মুরগী, নদীর মাছ, নানারকম সবজি, দেশি ফল, বিভিন্ন জাতের দুষ্প্রাপ্য চাল পাওয়া যাচ্ছে। নিজের গ্রামের বাড়ির পাশে ৬০ শতাংশ জমিতে মুরগীর খামার করেছেন। একই সঙ্গে লিজ নিয়েছেন একটি নদী।
তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১৫ জনের মতো কর্মী নিয়মিত কাজ করছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তো আরও লোক কাজ করে। আমার ইচ্ছে আছে মুরগীর খামারের পাশে, নদীর পাড়ে এবং বাড়িতে খালি জমিতে সবজির চাষ করার।
‘খনা অর্গানিক’-কে বড় করার লক্ষ্যে তার সঙ্গে নিয়েছেন ছোট ভাইকে। তাকে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে নিয়ে এসে নিজের ব্যবসা দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন। ‘বর্তমানে আমি সরাসরিই সবকিছু দেখছি। ও আমাকে সহায়তা করছে। আমার যেহেতু অভিনয়ের ক্যারিয়ার রয়েছে তাই হয়তো আমি এখানকার মতো এত সময় দিতে পারবো না। তাই তাকেসহ আমার আশপাশের সবাইকে এখানে যুক্ত করছি’— বলেন জ্যোতি।
ব্যবসাটা আরেকটু বাড়লে জ্যোতির ইচ্ছে আছে একটি ই-কমার্স সাইট করার। এখন আপাতত ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘ই-কমার্স সাইট এখনই করছি না। তবে করবো। এর আগে চাই আমার পণ্যের গ্রাহক বাড়ুক। এখন যারা নিচ্ছে তারা বার বারই নিচ্ছে। কিন্তু আমি চাই এ সংখ্যা আরও হোক।’
সারাবাংলা/এজেডএস