ক্লোয়ি ঝাও: এশিয়াতে প্রথম, অস্কারে দ্বিতীয়
২৬ এপ্রিল ২০২১ ২২:৩২
এমনিতে অস্কারের ইতিহাসে নারী পরিচালক পুরস্কৃত হয়েছেন এ নিয়ে দুই বার। এবারের আসরে ক্লোয়ি ঝাও এক দশক পরে দ্বিতীয় নারী হিসেবে ‘সেরা পরিচালক’ পুরস্কার পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এশিয়ার প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন।
ক্লোয়ি ঝাও ‘সেরা পরিচালক’ হয়েছেন ‘নোম্যাডল্যান্ড’র জন্য। যার গল্প একজন ষাটোর্ধ্ব বিধবা নারীর জীবন নিয়ে। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি এর কাহিনি, সম্পাদনা এমনকি প্রযোজনাও করেছেন ক্লোয়ি ঝাও।
ঝাওয়ের ‘নোম্যাডল্যান্ড’ ছয়টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল। এর মধ্যে ‘সেরা সিনেমা’, ‘সেরা পরিচালক’সহ তিনটি ক্যাটগারিতে পুরস্কার পেয়েছে। বিজয়ি বাকি ক্যাটাগরিটি হচ্ছে—সেরা অভিনেত্রী (ফ্রান্সিস ম্যাকডোম্যান্ড)। সেরা অ্যাডাপ্টেড চিত্রনাট্য ও সেরা সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেলেও পুরস্কার জিততে পারেনি ঝাওয়ের ছবিটি।
পুরস্কারের মঞ্চে ক্লোয়ি ঝাও এসেছিলেন বেশ সাদামাটা পোশাক পরে। সেখানে তিনি প্রথমেই ধন্যবাদ জানান তার সঙ্গে বাকি যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন সে সকল পরিচালকদের। একইসঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানান তার সকল কাস্ট ও ক্রুদের যারা ‘নোম্যাডল্যান্ড’কে প্রাণবন্ত করতে সহায়তা করেছিলেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বর্তমান সময়ে নিয়ে তার চিন্তার কথাও বলেন। একইসঙ্গে তার বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
‘সবকিছু কেমন জানি কঠিন হয়ে উঠছে এ সময়ে এসে। তারপরও আমি চিন্তা করছি কীভাবে আমাকে সময়টায় চলতে হবে’— বলেন ক্লোয়ি ঝাও।
‘এবং আমি মনে করে এ সময়ে আমি পিছনে চলে যাচ্ছি, যখন আমি ছোট ছিলাম। যখন আমি চীনে বড় হচ্ছিলাম, তখন আমার বাবা আমার সঙ্গে একটা খেলা খেলতেন। আমরা চীনের কিছু ঐতিহ্যবাহী কবিতা ও গল্প মুখস্থ করতাম। পরবর্তীতে দুজন একসঙ্গে তা আবৃত্তি করতাম এবং একে অপরের বাক্য শেষ করতে সহায়তা করতাম।’
অস্কারের ইতিহাসে প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ক্যাথরিন বিগলো। তিনি ২০০৯ সালে ‘দ্য হার্ট লকার’ এর জন্য ২০০৯ সালে পুরস্কার পান। অস্কারের ৯৩ বছর পর এসেও এবারে মাত্র নারী মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।
সারাবাংলা/এজেডএস