প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার না নিতে পারায় আফসোস বিজয়ীদের
২৩ মার্চ ২০২২ ১৭:২৮
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে ট্রফি সাধারণত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুলে দেন। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর ধরে এ পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ নিয়ে কিছুটা আফসোস করলেন পুরস্কার বিজয়ীরা।
সারাবাংলার সঙ্গে পুরস্কার প্রাপ্তির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেশ কিছু বিজয়ী প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কারটি নিতে পারায় আফসোস করেন।
‘বীর’ ছবির জন্য ‘শ্রেষ্ঠ খলভিনেতা’র পুরস্কার পাওয়া মিশা সওদাগর বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি এখানে উপস্থিত থাকতে পারেননি করোনার কারণে। তাই তার হাত থেকে পুরস্কার নিতে না পারায় কিছুটা কষ্ট তো রয়েছে। তবে এটি আমার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এর আগের বার তার হাত থেকে নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
মিশা তার এবারের পুরস্কার জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি আরও বলেন, স্বপ্ন ছিল কাজী হায়াতের ছবিতে অভিনয় করবো, তা পূরণ হয়েছে। ক্রিকেটে আমাদের যেমন সাকিব আল হাসান আছে, তেমনি ফিল্মে কাজী হায়াত একটা সাইনবোর্ড। ভালো লাগছে মৌলিক ও বাণিজ্যিক একটি ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছি।
ফাখরুল আরেফীন খান পেয়েছেন ‘শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা’র পুরস্কার। ‘গণ্ডি’ ছবির জন্য পুরস্কার প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এ ধরনের পুরস্কার প্রাপ্তি সামনে চলার পাথেয়। আগামীতে আরও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়। পুরস্কারটা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিতে পারলে আরও ভালো লাগতো।
‘শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক’ বেলাল খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সশরীরে উপস্থিত থাকেন তখন আমাদের নানা ধরণের দিক নির্দেশনা দেন। এবার তা থেকে বঞ্চিত হলাম। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ তো রয়েছেই।
বেলাল খানের পুরস্কার পাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতি বছরই পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলে বিচ্ছিন্নভাবে বিতর্ক হয়। কিন্তু জুরি বোর্ড ভালোভাবেই সবকিছু ভালোভাবে বিবেচনা করে রায় দেন বলে আমি জানি।
‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’র পুরস্কার পাওয়া সিয়াম আহমেদ বলেন, প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি সেটা প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিতে পারলে বেশি ভালো লাগতো। তারপরও আমি আমার টিম মেম্বার, পরিচালকসহ, দর্শক, ভক্তদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
সারাবাংলা/এজেডএস