লিবারেশন ডকফেস্টে ‘থার্টি ফাইভ’ -এর প্রদর্শনী
১০ মার্চ ২০২৩ ১৫:২০
‘থার্টি ফাইভ’ বাংলাদেশের সেলুলয়েড সিনেমার পুরনো আবেগ আর নস্টালজিয়া খুঁজে বেড়ানো এক সৃজনশীল নতুন ধাঁচের চলচ্চিত্র। বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থানপতনের ইতিহাসের সারমর্মের প্রতিচ্ছবিও চলচ্চিত্র থার্টি ফাইভ। কেননা একটি প্রজন্ম যারা থার্টি ফাইভ মিলিমিটারে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বড় হয়েছেন। ধীরে ধীরে তারাও হারিয়ে গেছেন বা যাচ্ছেন থার্টি ফাইভ মিলিমিটার এর মতই। আশিক মোস্তফা পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’এবার প্রদর্শিত হবে লিবারেশন ডকফেস্টে। আগামী ১০ মার্চ শুক্রবার বিকেল ৫টায় ছবিটি দেখানো হবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন রুমে।
অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর চিত্রগ্রহণে নাম লেখান মাহফুজুর রহমান খান। পরবর্তীতে তিনি প্রতিষ্ঠিত হন দেশের অন্যতম চিত্রগ্রাহক হিসাবে। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি চিত্রগ্রহণে আগ্রহী হন, তারপরবাবার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে হাতেখড়ি। চিত্রগ্রহণ শেখার উদ্দেশ্যে তিনি জহির রায়হানের লেট দেয়ার বিলাইট ছবির সেটে যেতেন। এ ছাড়া রফিকুল বারী চৌধুরী ও আবদুল লতিফ বাচ্চুর কাছ থেকে চিত্রগ্রহণের বিভিন্ন বিষয়ে শিখেছেন। মাহফুফুজুর রহমানের বয়ানে তা তুলে ধরা হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার যুগের সেই সময়ের এফডিসি কেমন ছিল, কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হতো। রাজনৈতিক চলচ্চিত্র থেকে চলচ্চিত্রের রাজনীতি কিছুই বাদ যায়নি তার বয়ানে।
নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর তিন বছর পর দর্শকের সামনে আসছে চল্চ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’। আশিক মোস্তফা নির্মিত চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারণ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যু হয়েছে মাহফুজুর রহমানের। এই ছবিতে একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা।
থার্টি ফাইভ চলচ্চিত্রের পরিচালক আশিক মোস্তফা একজন স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক এবং লেখক। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিউ ইয়র্কের স্কুল অফ ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে। ২০০২ সালে ১৬ মিমি-এ নির্মাণ করেন ‘ফুলকুমার’। কাল্ট ক্ল্যাসিক হিসাবে বিবেচিত এই চলচ্চিত্রটি তখন অসংখ্য নবীন নির্মাতাদের অণুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
তিনি ২০১৭ সালে মোবাইল ফোনে ধারণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’। ছবিটির জন্য বেস্ট শর্ট ডকুমেন্টারি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জিলাভা চলচ্চিত্র উৎসবে। নিভৃতচারী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা ইতিমধ্যে নির্মাণ করেছেন আরও কিছু চলচ্চিত্র যার মধ্যেরয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ‘বিরানি’, ‘চুরিহাট্ট’ ও শিল্পী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে ‘মনির’ নামের পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি। আশিক মোস্তফার চলচ্চিত্রগুলো মূলতঃ নিরীক্ষাধর্মী ও আভাগার্দ ধাঁচের।
সারাবাংলা/এজেডএস