আজ ১০ আগস্ট। সিংহদের জন্য বরাদ্দ একেবারে রাজকীয় দিন। ‘ওয়ার্ল্ড লায়ন ডে’ মানেই হলো জঙ্গলের রাজাকে তার সিংহাসনে বসিয়ে স্যালুট জানানো, গর্জনের তালে তালে প্রকৃতিকে উদযাপন করা, আর এক চিলতে হাসি দিয়ে মনে করিয়ে দেওয়া— ‘হ্যাঁ ভাই, আমরাই কিন্তু বন্যপ্রাণীর VIP!’
সিংহ কেন ‘রাজা’?
প্রাচীনকাল থেকেই সিংহ সাহস, শক্তি আর মর্যাদার প্রতীক। মিশরের ফেরাউনদের পোশাকে থেকে শুরু করে রাজকীয় প্রতীকে— সিংহের ছবি যেন শক্তির ব্র্যান্ড লোগো। জঙ্গলে তাদের গর্জন শুনলে এক কিলোমিটার দূরের হরিণও ভাবে, ‘ঠিক আছে ভাই, আজ ঘরে থাকি!’
সিংহের রোমাঞ্চকর জীবন _
দিনে প্রায় ২০ ঘণ্টা ঘুম! (শুনে অলস দিবসের সঙ্গেও ম্যাচ হয়ে যাচ্ছে!)
সিংহীরা শিকার করে, আর সিংহ সাহেবরা রাজকীয় ভঙ্গিতে খান— একেবারে ভিআইপি ডাইনিং।
গর্জনের ভলিউম এত বেশি যে, ৮ কিমি দূর থেকেও শোনা যায়— যেন জঙ্গলের FM রেডিও!
কেন দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ _
মজার হলেও বাস্তবটা সিরিয়াস— বন্যপ্রাণীর সংখ্যা দ্রুত কমছে। আফ্রিকায় গত ৫০ বছরে সিংহের সংখ্যা কমে গেছে অর্ধেকেরও বেশি। তাই আজ শুধু গর্জন নয়, সচেতনতারও দিন— সংরক্ষণ, প্রজনন ও প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা করা জরুরি।
আপনি কিভাবে উদযাপন করবেন?
আজকের প্রোফাইল পিকচারটা সিংহের ইমোজি বা ছবি দিয়ে বদলে দিন।
চিড়িয়াখানায় বা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পার্কে গিয়ে ‘রাজা’র সাথে দেখা করুন (নিরাপদ দূরত্বে!)।
বাচ্চাদের সিংহ নিয়ে মজার গল্প বা কার্টুন দেখান— ‘দ্য লায়ন কিং’ কিন্তু এখনো হিট।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থায় ছোট্ট অনুদান দিন—যেন জঙ্গলের রাজা সত্যিই রাজা থাকে।
শেষ কথা _
আজকে আপনি যদি জঙ্গলের রাজা না-ও হন, অন্তত নিজের জীবনের রাজা হোন। একটু গর্জে ওঠুন— অবশ্যই আনন্দে! কারণ, সিংহ দিবসে হাসি, গর্জন আর ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় উৎসব।