শীত শীত গন্ধ, চোখে লাগে ধন্ধ
২৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৫
সারাবাংলা ডেস্ক
আসব না, আসব না করে শীত ঠিক এসেই গেল, আসবেই বা না কেন? এখন মধ্য অগ্রহায়ণ। পৌষ পুরোপুরি আসার আগে শীতের একটু তো হাঁকডাক থাকা চাই নাকি? শীতের আগমনে সূর্যও একটু আলসে হয়ে গিয়েছে, উঠতে উঠতে সকাল ৬টা ২২ বাজিয়ে ফেলে। কিন্তু সূর্যের আইনে কি আর অফিস আদালত চলে? তাই সকাল সকাল যাদের ঘর থেকে বের হতে হবে, তারা মোটামুটি গরম কাপড় নিয়ে হবেন, সকালে যখন সূর্য উঠবে তখন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১০টা নাগাদ সে তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছাবে, ২৪ ডিগ্রিতে।
বেলা দুইটায় যদিও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠবে কিন্তু এর পরেই আবার কমা শুরু করবে। শীতের ফাঁকিবাজ সূর্য বিকেল পাঁচটা বেজে কোনোক্রমে ১১ মিনিট পার হলেই টুপ করে ডুবে যাবে, তখন আবার তাপমাত্রা নেমে যাবে ২৩ ডিগ্রিতে। তাই বাড়ি ফিরতে ফিরতে যদি রাত বেশি হয়, দুপুরের কম ঠাণ্ডার ধোঁকায় পড়বেন না যেন, সূর্য ডুবলেই শীতের বুড়ি উত্তর ও উত্তর পূর্ব হাওয়ায় ভর দিয়ে জেঁকে বসবে।
এমনিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির নাম ঠিকানাও নেই তবে, কুয়াশার জন্য দিন বেশ ঢিমে আলো ছড়াবে। আকাশের ৩১ শতাংশ জায়গা জুড়ে মেঘও থাকবে। আর্দ্রতা হবে ৫৩ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত। সকালের দিকে তাই চুল খুব ফুরফুরে লাগলেও বেলা বাড়লে যখন আর্দ্রতা বেড়ে ৭৫ শতাংশে যাবে তখন চুল বেঁধে ফেলাই ভালো। একটু ঘামটাম হলেও গা কুটকুটানি থেকে বাঁচা যাবে। আর যাদের চুল ছোট তাদের তো চুলের ভাবনাই নাই। আর্দ্রতা যাই হোক একটু বাতাস পেলেই ফুরফুরে থাকা যাবে।
সারাদিনে শিশিরপাত বিভিন্নমাত্রায় হলেও কুয়াশার কারণে দেখতে খুব সমস্যা হবে না। সূর্য যদিও একটু আলসে আছে চাঁদের কিন্তু শুক্লপক্ষ চলছে। তাই চাঁদ মামা ২টা ৪৫ এ ঝকঝকে দিন থাকতেই উঠে বসে থাকবেন। বিকেলে আলো একটু কমে এলেই আধখানা থেকে একটু বড় আকারে তাকে আকাশে ঝুলতে দেখা যাবে।
আগে আসার খাতিরে আবার রাত শেষ হওয়ার আগে রাত তিনটা নাগাদ সে ডুবেও যাবে। সূর্য ফাঁকিবাজি করলেও তার অতিবেগুনী রশ্মি মোটেই কোনো ফাঁকিবাজির ধার ধারছে না। তাই দিনের যে সময়ই ঘর থেকে বের হন না কেন, খোলা ত্বকে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। মিষ্টি রোদ গায়েও মাখা হবে আবার সূর্যের আলোর ক্ষতিও হবে না।
আপনাদের সারাদিন নিরাপদে কাটুক।
এমএ/একে