Thursday 16 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সম্পর্কে স্পেস ও সম্মান বজায় রাখতে শিখুন

সানজিদা যুথী
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:১১

সমাজে মানুষের জীবন যতটা আন্তরিকতা আর সংযোগে ভরা, ঠিক ততটাই ব্যক্তিগত স্পেসের প্রয়োজন। সম্পর্ক— হোক তা বন্ধুত্ব, পরিবার, কিংবা প্রেমিক/প্রেমিকার— সবক্ষেত্রেই স্পেস ও সম্মান বজায় রাখা অপরিহার্য। কিন্তু বাস্তবে অনেক সময় মানুষ নিজের অনুভূতি বা প্রত্যাশার অতিরিক্ত চাপ অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ, সম্পর্কের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়। তাই স্পেস এবং সম্মান বজায় রাখা কৌশলগতভাবে সম্পর্ককে সুস্থ ও দীর্ঘস্থায়ী রাখতে সহায়তা করে।

প্রথমেই প্রয়োজন ‘স্পেস’ বা ব্যক্তিগত সময় ও সীমার গুরুত্ব বোঝা। প্রত্যেক মানুষ নিজের ভাবনা, কাজ বা শখের জন্য সময় চান। সম্পর্কের মাঝে এমন সময় বা স্পেস প্রদান করা মানে অন্যকে ‘স্বাধীনতা’ দেওয়া। উদাহরণস্বরূপ, প্রেমিক বা বন্ধুকে ছোট ছোট সময়ে একা থাকার সুযোগ দেওয়া, পরিবারের সদস্যদের ব্যক্তিগত কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট সময় দেওয়া— সবই সম্পর্কের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয়ত, সম্পর্কের মধ্যে ‘সম্মান’ বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্মান মানে শুধু কথা শোনার বিষয় নয়; এটি অন্যের অনুভূতি, সিদ্ধান্ত ও সীমা গ্রহণ করার মধ্যেও প্রকাশ পায়। কোনো বিতর্ক বা মতপার্থক্য হলে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া, বিরোধের সময় আক্রমণাত্মক বা নেতিবাচক ভাষা ব্যবহার না করা সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সম্মান প্রদর্শন সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাসের বীজ রোপণ করে।

তৃতীয়ত, যোগাযোগের কৌশলও স্পেস ও সম্মান বজায় রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খোলাখুলি এবং সৎ যোগাযোগ সম্পর্ককে সুসংহত করে। একজন মানুষ যদি নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে না পারে বা অপরের সীমা না বোঝে, তাহলে মানসিক দূরত্ব বাড়ে। নিয়মিত সংলাপ, নিজের চাহিদা স্পষ্টভাবে বোঝানো এবং অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া— সবই সম্পর্কের মধ্যে সম্মান প্রদর্শনের অংশ।

শেষে, সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে ‘সীমারেখা’ নির্ধারণ অপরিহার্য। কখন কথা বলা উচিত, কখন ব্যক্তিগত সময় দেওয়া উচিত— এগুলোকে বোঝা এবং মানা সম্পর্ককে টেকসই করে। স্পেস ও সম্মান একসঙ্গে কাজ করলে সম্পর্ক শুধু টিকে থাকে না, বরং আরও ঘনিষ্ঠ, সুস্থ ও সুরক্ষিত হয়।

সংক্ষেপে, স্পেস ও সম্মান হলো সম্পর্কের দুইটি মূল স্তম্ভ। এগুলো মেনে চললে সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়, মানসিক চাপ কমে, এবং ব্যক্তির স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সুতরাং, স্বাস্থ্যসম্মত সম্পর্কের জন্য সময়, স্বাধীনতা এবং একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন— এগুলো অনিবার্য।

সারাবাংলা/এসজে/এএসজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর