Saturday 14 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘি কেন খাবেন, কতটুকু খাবেন


৪ আগস্ট ২০২০ ১৭:১৮ | আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২০ ১৭:৩৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যারা ওজন কমাতে চান তারা সবার আগে খাবারের তালিকা থেকে চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দেন। তেলের পাশাপাশি বাদ দেন ঘি। কিন্তু আদিকাল থেকেই এদেশে ঘি খাওয়ার প্রচলণ। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ঘিয়ের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। আসুন জেনে নেই ঘি কীভাবে বানায়, ঘিয়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

ঘি আসলে কী
ইংরেজিতে ঘিকে বলা হয় ক্লারিফায়েড বাটার। এতে রয়েছে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ চর্বি। বাকি ০১ শতাংশ জলীয় উপাদান, চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ও দুধের পোড়া অংশ। ঘি মূলত সম্পৃক্ত চর্বি তাই এটি বাইরের তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যায়।

ঘি যেভাবে তৈরি হয়
গরু, ভেড়া বা ছাগলের দুধ থেকে ঘি বানানো যায়। তবে সাধারণত গরুর দুধ থেকেই ঘি তৈরি করা হয়। দুধ থেকে বাটার বা মাখন বানাতে হবে। তারপর সেই মাখন ভালোভাবে ফেটে নেওয়ার বা মথিত করার পর জ্বাল দিলে ঘি হবে। ঘরেও এভাবেই ঘি বানানো হয়। তবে অনেকেই দুধের সর থেকে ঘি তৈরি করেন। দির্ঘদিন ধরে সর জমা কর তারপর সেটি বেটে বা ব্লেন্ড করে জ্বাল দিলে ঘি হয়।

বিজ্ঞাপন

ঘিয়ের উপকারিতা
ঘরে তৈরি ঘিয়ে ফসফোলিপিড থাকে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারখানায় বানানো ঘিয়ে আবার এই ফসফোলিপিড থাকে না।
ঘিয়ের ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। হাড়, চুল ও চোখের জন্যও এটি উপকারী তাছাড়া অন্ত্র থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতেও সাহায্য করে ঘি।
গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের চর্বির গঠন যেমন তাতে পাওয়া যায় ডিএইচএ। এই ডিএইচএ একধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। আমরা যে খাবার খাই তার থেকে খাদ্য উপাদান শোষণ করতে সাহায্য করে ওমেগা থ্রি। ঘি ছাড়াও ওয়ালনাট, মাছের তেল ও ফ্লাক্সসিড বা তিসিতে পাওয়া যায় এই ওমেগা থ্রি। ডিএইচএ ক্যানসার, হৃদরোগ, ইনস্যুলিন রেজিস্ট্যান্স, আর্থ্রাইটিস ও এডিএইচডি (এটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদ বিশ্বাস অনুযায়ী ঘি
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ঘি নানারকম রোগ থেকে বাঁচিয়ে দীর্ঘজীবন লাভে সাহায্য করে। এটি সম্পৃক্ত চর্বিতে দ্রবণীয় পরিপোষক উপাদান শোষণে সাহায্য করে। এছাড়াও বিশ্বাস করা হয়, ঘি অস্থি সংযোগে পুষ্টি যোগায় ও পিচ্ছিলকারি উপাদান সরবরাহ করে।

কী বলছেন পুষ্টিবিদ
পুষ্টিবিদ সুস্মিতা খান বলেন, ঘিয়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকারিতা থাকলেও তা পরিমাণমত খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ দিনে ২ চা চামচের বেশি ঘি খেতে পারবেন না। আর ঘি খেলে সেদিন অন্য কোন তেল জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। আবার যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং কিডনির সমস্যা আছে, তারাও ঘি খাওয়ার ব্যপারে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়েই তবে খাবেন। ঘি ছাড়াও তিল, তিসি বা বাদাম তেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় যা হতে পারে ঘিয়ের বিকল্প। তাই ভেজিটারিয়ান বা ভিগান খাদ্যাভাসের ব্যক্তিরা সহজেই উদ্ভিজ্জ এসব তেল বেছে নিতে পারেন ওমেগা থ্রি পেতে।

ঘি ঘিয়ের উপকারিতা ঘিয়ের পুষ্টিগুণ টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর