জহিরুল ইসলাম-এর গল্প ‘লেখক’
৩ মে ২০২২ ২০:৫৭
বইমেলায় জুনায়েদ আহমেদের একটি মাত্র উপন্যাস বেরিয়েছে এবার। গালকাটা জব্বার। যথারীতি হিট সে বই। ভিন্নপ্রকাশ নামের স্টলের সামনে ভক্তরা লাইন দিয়ে কিনছে সে বই আর অটোগ্রাফের জন্য বাড়িয়ে দিচ্ছে লেখকের দিকে। লেখক একের পর এক প্রতিটি বইয়ে যত্নসহকারে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। কোনো কোনো ভক্ত লাইনে দাঁড়িয়েই জুনায়েদ আহমেদকে পিছনে রেখে সেলফি তুলছে। চশমার ফাঁক দিয়ে সেটা খেয়াল করে মুখটা একটু হাসি হাসি করার চেষ্টা করছেন তিনি। লেখকের সাথে একক সেলফি তোলার সুযোগ নেই। কারণ তার সময় নেই ছবি তোলার জন্য প্রত্যেককে আলাদাভাবে সময় দেওয়ার। লেখকের সঙ্গে একক সেলফি না হোক, অন্যসব মানুষের মধ্যেও দুজনকে যে একসঙ্গে যেখা যাচ্ছে এতেই খুশি ভক্তরা। কোনো কোনো ভক্ত তো জুনায়েদ আহমেদকে সামনাসামনি দেখতে পেরেই খুশি। এত বড় একজন লেখক, যাকে দেখা যায় শুধু টেলিভিশনে, সংবাদপত্রে; নিজের চোখের সামনে তাকে দেখা কি কম কথা!
এদিকে এমাদুল হক খোকনও সারা বছর বসে ছিলেন না। তবে তারও এ বছর প্রকাশিত উপন্যাস একটি। নাম একদিন আতর আলী। তার উপন্যাসও বরাবরের মতোই চলছে এবারও। উঠতি বয়সি তরুণ-তরুণীদের প্রিয় লেখক এমাদুল হক খোকন। কারণ প্রেম-ভালোবাসার কাহিনি লেখায় তার কোনো জুড়ি নেই। তবে তার এবারের উপন্যাসটা একটু ভিন্নধর্মী। তিনি রাতদিন প্রকাশনীর স্টলে দাঁড়িয়ে একের পর এক অটোগ্রাফ দিয়ে যাচ্ছেন নিজের বইয়ে। এরই এক ফাঁকে সামনের লাইনে দাঁড়ানো এক পাঠক অন্য এক লেখকের বই তুলে দেন এমাদুল হক খোকনের হাতে। বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠা খোলাই ছিল, তাই প্রচ্ছদ দেখার উপায় ছিল না। কিন্তু কেমন করে যেন লেখক বুঝে যান অটোগ্রাফ শিকারির চাতুরী। আর বুঝবেন না-ই বা কেন, মাথার মধ্যে অতিরিক্ত যদি কিছু না-ই থাকে এমনি এমনি কি এত বড় লেখক হয়েছেন! কভার পৃষ্ঠাটা উল্টিয়ে বইয়ের নাম দেখে অটোগ্রাফ না দিয়েই বইটি ফেরত দেন বইয়ের মালিকের হাতে। অটোগ্রাফ শিকারিও বুঝে যান, তার চাতুরী ধরা পড়ে গেছে। বই নিয়ে লাইন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
অটোগ্রাফ দেওয়ার সময় সামনের ক্রেতাটির নামও জানতে চাচ্ছেন না কোনো লেখক। নাম জানতে চাওয়ার সময়ই বা কই? সামনে যে বিশাল লাইন। সবার বইয়েই যে অটোগ্রাফ দিতে হবে। তাই শুভেচ্ছা বা ভালোবাসা শব্দটি লিখে নিজের নামের সিগনেচারটি খুব সুন্দরভাবে লিখে দিচ্ছেন বইয়ের নির্দিষ্ট জায়গায়। ভক্তরা তাতেই খুশি। প্রিয় লেখকের দিকে বিদায়ি দৃষ্টি বুলিয়ে বিদায় নিচ্ছে স্টল থেকে।
কোনো নতুন দর্শনার্থী বইমেলায় এলে মনে করবে, দেশে বুঝি মাত্র দুজন লেখকই আছেন। বইমেলায় অবশ্য অন্য লেখকদের বইও যে বিক্রি হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু এমন মারমার কাটকাট অবস্থা আর কারও নয়। তবে এই দুই লেখকের বিশাল ভক্তগোষ্ঠী থাকলেও তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নির্দিষ্ট একজনের ভক্ত। অন্যজনের লেখা পড়ে দেখা তো দূরের কথা বরং সুযোগ পেলে তাদের নামে দুচার কথা বলে বেড়ায়। আর দুই লেখকের দুই ভক্ত সামনাসামনি হলে তো কথাই নেই। ঝগড়ার উপক্রম হবে। এই যেমন টুম্পা আর ইমন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হলেও তারা দুজন দুই লেখকের ভক্ত। এদের নিয়ে কথা উঠতেই টুম্পা বলল, আরে জুনায়েদ আহমেদের লেখা কোনো সিরিয়াস পাঠক পড়ে নাকি? তার লেখায় তো কোনো সিরিয়াসনেই নেই। পড়ার সময় একটু ভালো লাগে, পড়া শেষ তো মনের মধ্যে আর কিছু থাকে না। এ কথার জবাবে ইমন বলে, তোর এমাদুল হক খোকন তো লুতুপুতু লুতুপুতু প্রেমের গল্প ছাড়া আর কিছু লেখে না। কেন, সমাজে কি প্রেম ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই! টুম্পাও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নয়, সে বলে, এই প্রেমের গল্পের মধ্য দিয়ে সমাজের কত বড় বড় অসঙ্গতি সে তুলে ধরে জানিস তুই! জানবি কী করে, তুই তো আবার ওই হাসির মহারাজ লেখকের লেখা ছাড়া কিছু পড়িসই না।
যাই হোক, ভক্তদের মধ্যে এমন রেষারেষি থাকলেও এই দুই লেখকের মধ্যে সম্পর্ক কিন্তু চমৎকার। পত্রিকার লোকগুলো তো সাক্ষাৎকার নিতে গেলে দুই লেখককেই খোঁচায়। একজনের মুখ দিয়ে অন্যজনের নামে খারাপ কিছু যদি বের করা যায় তাহলে তার সাক্ষাৎকার হিট। কিন্তু এমন চেষ্টায় তারা কোনো দিন সফল হতে পারেননি।
তবে দেশে সাহিত্যপ্রেমী পাঠক যে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা তো নয়। এক ধরনের নিরপেক্ষ পাঠকও তো আছে। থাকে সব সমাজেই। তারা সংখ্যায় কম হলেও দুজনের লেখাই পড়ে। শুধু দুজনের কেন, বেছে বেছে আরও লেখকদের বই তারা কেনে। পড়ে। এমন কিছু পাঠকই এক সময় আবিষ্কার করে, আরে! গালকাটা জব্বার আর একদিন আতর আলীর কাহিনি যে হুবহু এক। দুই লেখকের লেখার আলাদা যে স্টাইল তা ঠিকই আছে দুটিতে, কিন্তু দুই উপন্যাসেরই মূল কাহিনি যে এক। এ কী করে সম্ভব! এই দুই লেখকের প্রত্যেকেরই একশর উপরে উপন্যাস বেরিয়েছে, দুজনেই অনেক অনেক জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক লিখেছেন। আবার দুজনের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাও নির্মাণ হয়েছে বেশ কয়েকটি। কিন্তু কারও নামে কুম্ভীলকের কোনো বদনাম তো এর আগে তার শত্রুরাও দিতে পারেনি।
এককান দুইকান হতে হতে পত্রিকার লোকদের কানেও এ খবর পৌঁছে গেল। তারা হন্তদন্ত হয়ে দুটি বইই জোগাড় করলেন। রাতারাতি পড়ে শেষও করলেন। পড়া শেষ করে ভাবলেন, এবার আর যায় কোথায়! সাক্ষাৎকারের নামে এমন তথ্য বের করে আনব, সারা দেশ থ হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা হলো, এই দুই লেখক বরাবরই সাংবাদিকদের খুব একটা পাত্তা দেন না। আর বইমেলার সময় তাদের শিডিউল পাওয়া বেশ কঠিন কাজই। তবে সমস্যা নেই। দৈনিক অবান্তরের সম্পাদকের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক জুনায়েদ আহমেদের। তাকে দিয়ে ফোন করালে নিশ্চয় সাক্ষাৎকারের জন্য কিছুটা সময় নির্ঘাত মিলে যাবে। অন্যদিকে এমাদুল হক খোকন দৈনিক উচ্চকণ্ঠ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের বন্ধুর মতো। গলায় গলায় ভাব তাদের। অতএব দুই পত্রিকার দুই সাংবাদিকের অনুমতি মিলে গেল সাক্ষাৎকারের।
জুনায়েদ আহমেদের সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে দৈনিক অবান্তরের প্রতিবেদক প্রথমে টেনে আনলেন বিশ্বসাহিত্যকে। বিশ্বসাহিত্যের নামকরা সব লেখক আর তাদের লেখা নিয়ে লেখকের মন্তব্য শুনলেন। সাক্ষাৎকার বা লেখায় এগুলো আনতে হয়। তাতে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীর কাছে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর বিজ্ঞতা প্রকাশ পায়। পাঠকরাও লেখকের ওজন বুঝতে পারে। এরপর এলো এ উপমহাদেশের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। সর্বশেষে নিজ দেশ। এক পর্যায়ে তিনি আসল কথায় এলেন। বললেন, এবারের মেলায় আপনার গালকাটা জব্বার নামের যে উপন্যাসটা বেরিয়েছে তার কাহিনির সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী লেখক এমাদুল হক খোকনের একদিন আতর আলী উপন্যাসের কাহিনি। আপনার মতো লেখক অন্যকে অনুসরণ করবেন না, এ ব্যাপারে আমাদের যেমন আস্থা আছে, তেমনি পাঠকদেরও আছে। কিন্তু ঘটনাটা কীভাবে ঘটল বলে আপনি মনে করেন?
জুনায়েদ আহমেদ এই প্রশ্নের উত্তর দেন বেশ সতর্কতার সঙ্গে। তিনি বললেন, দেখুন, একই দেশে বাস করি আমরা। তা ছাড়া ছোট্ট একটি দেশ আমাদের। এইটুকু দেশে যা ঘটে সবই নজরে আসে সবার। আর গল্প বা উপন্যাস তো সমাজের ঘটে যাওয়া ঘটনারই প্রতিচ্ছবি। যে যেমন দৃষ্টিতে দেখে সে তেমনভাবে উপস্থাপন করে, এই আর কি! লেখকের এই উত্তরে আশাহত হন সাক্ষাৎকারগ্রহীতা। অফিসে গিয়ে তিনি সাক্ষাৎকার লিখে জমা দিলেও লেখায় কোনো সজীবতা আসে না। মন দিয়ে না লিখলে যা হয়।
ওদিকে প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে উচ্চকণ্ঠের প্রতিবেদক গেলেন এমাদুল হক খোকনের কাছে। প্রশ্ন করতে গিয়ে তিনিও সাহিত্য সম্পর্কে বিস্তর জানাশোনার প্রমাণ উপস্থাপন করলেন লেখকের কাছে। লেখক সাবলীলভাবে তার সঙ্গে আলাপ চালিয়ে গেলেন দীর্ঘক্ষণ। আধা ঘণ্টায় সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কথাবার্তা এবং চা খেতে খেতে দেড় ঘণ্টা পেরিয়ে গেল। এরপর প্রতিবেদক তার আসল উদ্দেশ্য ব্যক্ত করলেন। লেখক জানতেন সাক্ষাৎকার গ্রহীতার শেষ প্রশ্ন কী হতে পারে। তাই তিনি প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে না গিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক স্বরেই উত্তর দিলেন। তিনি যা বললেন তার ভাবার্থও মূলত জুনায়েদ আহমেদের বক্তব্যের মতোই। এমাদুল বললেন, মানুষের সাথে মানুষের ভাবনার মিল তো হতেই পারে। আমি যদিও গালকাটা জব্বার বইটি এখনও পড়তে পারিনি, তবে মনে করি এই চিন্তার মিলের কারণেই কাহিনিতে কিছুটা সাদৃশ্য থাকতে পারে।
বলা বাহুল্য, এই প্রতিবেদকও তীব্র আশাহত হলেন। স্বাভাবিকভাবেই পাঠকরাও এ দুটি সাক্ষাৎকার পড়ে আশাহতই হবেন। কারণ এ ঘটনার খবর এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে পাঠক মহলে। যারা জুনায়েদ আহমেদ ও এমদাদুল হক খোকনের বই পড়েন, তারা তো বটেই, যারা এ দুজন লেখকের লেখা পড়েন না, তাদের মধ্যেও আগ্রহ বেড়েছে এই ঘটনার ব্যাপারে। কিন্তু এদের কারও এই আগ্রহ নিবৃত্তির সুযোগ আর রইল না। তাহলে কি এই গল্পের পাঠকরাও অন্ধকারে থেকে যাবেন? তা কী করে হয়! তাহলে আর আর গল্পের অবতারণা কেন!
সেদিন ছিল প্রচ- ঝড়ের রাত। একজন সাহিত্যপ্রেমীর বাংলোবাড়িতে বসেছিল সাহিত্য আড্ডা। বিকাল থেকে প্রচুর লেখক, সাহিত্যিক, পাঠক আর ভক্তদের আগমন ঘরে সে আড্ডায়। আড্ডা শেষ হতে হতে লোকজনও কমে যেতে শুরু করে। কিন্তু সন্ধ্যা উতরে যেতেই শুরু হয় ঝড়। প্রচ- সে ঝড়। রাত বেড়ে যায় ঝড় আর কমে না। এদিকে ঝড়ে আটকা পড়েছে দুই বন্ধু লেখক জোনায়েদ আহমেদ আর এমাদুল হক খোকন। এ দুজন ছাড়া উপস্থিত আছেন আড্ডার আয়োজক আর একজন কেয়ারটেকার। কেয়ারটেকার মাঝে মাঝে চা-সিগারেটের জোগাড় দিয়ে চললেও বাকি তিনজনের আড্ডা চলতেই থাকে। এক পর্যায়ে আড্ডার আয়োজন এই বাংলোবাড়ির মালিক তার জীবকাহিনি বলা শুরু করেন। কীভাবে অভাবের তাড়নায় বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। আর্থিক অনটনের কারণে লেখাপড়াও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে একটা প্রেসে চাকরি করে খেয়ে না-খেয়ে থাকতেন। নিজে ইন্টারমিডিয়েট পাস না করেও অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় প্রেসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কাজ মিলে যায় প্রেসের মালিকের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষীর্থী মেয়েকে পড়ানোর। তার কাছে পড়েই সেই মেয়ে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে। এক পর্যায়ে সেই মেয়ে প্রেমে পড়ে যায় গৃহশিক্ষকের। এরপর নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে আজকের এই পর্যায়ে উঠে এসেছেন ওই গৃহশিক্ষক। এক পর্যায়ে ঝড় থেমে যায় ঠিকই, রাতও গভীর হতে থাকে। কিন্তু কেউ আর উঠতে আগ্রহী হয় না সে আলোচনা ছেড়ে। গল্প শুনতে শুনতে দুই লেখকই ভাবতে থাকেন, এ তো এক মহা উপন্যাসের প্লট। দুইজনই মনে মনে সে প্লটকে বিস্তৃত করতে থাকেন নিজের মতো করে।
আড্ডার আয়োজকের জীবকাহিনি শেষ হতে হতে সূর্যের আভা দেখা যায় পুব আকাশে। এক সময় আড্ডা ভেঙে যায়। যে যার বাড়িমুখো হয়।
এর পরের কাহিনি বুঝতে এ গল্পের পাঠকদের মনে হয় আর কোনো কষ্ট হবে না। কিন্তু এ পর্যায়ে এসে দুটো প্রশ্ন তাদের মনে উঁকি দিতেই পারে। প্রথমত, কী এমন ঘটনা ঘটল যে আড্ডার আয়োজক সাহিত্যপ্রেমী লোকটির জীবনের মোড় ঘুরে গেল! এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আপনাদের গালকাটা জব্বার আর একদিন আতর আলী উপন্যাস দুটি অবশ্যই পড়তে হবে। আর দ্বিতীয় যে প্রশ্নটা মনে আসতে পারে, সেটা হলো, এই গল্পের গল্পকার কী করে জানলেন এসব ঘটনা? উত্তরটা বেশ রহস্যময় হলেও সহজ। এই গল্পের গল্পকারই সেদিনকার সেই আড্ডার আয়োজক। নইলে সাংবাদিক সমাজের এত চেষ্টার পরেও বাংলা সাহিত্যের উৎসুক পাঠক সমাজ যে রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে পারলেন না এই লেখক এত সহজে সে কাহিনি কীভাবে বর্ণনা করলেন!
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি
ইদ ২০২২ ইদ আয়োজন ২০২২ ইদ সংখ্যা ২০২২ ইদুল ফিতর ২০২২ গল্প জহিরুল ইসলাম জহিরুল ইসলাম-এর গল্প ‘লেখক’ লেখক সারাবাংলা ইদ আয়োজন ২০২২