রংপুর: জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরতে রংপুরে সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে সমাবেশটি শুরু হয়।

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।
সমাবেশের মূল বক্তা ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান। জনসভার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। হাজারো নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে নগরী উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে।

আয়োজকদের ভাষ্য, গত কয়েকদিনের প্রস্তুতি আজ চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। সমাবেশের আগের রাত থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন, পতাকা ও স্লোগান নিয়ে মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। অনেকেই রাত কাটিয়েছেন মাঠেই। পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে; বসেছে বিভিন্ন খাবার ও পানীয়ের স্টল। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে সিটি বাজার পর্যন্ত মাইক ও প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শহর।
মাঠের বাইরে থাকা জনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বড় স্ক্রিন বসানো হয়েছে। সাংবাদিকদের লাইভ কভারেজের সুবিধায় বসানো হয়েছে উচ্চগতির ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক।
দিনাজপুর থেকে আসা জামায়াত কর্মী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রাতেই এসে অবস্থান নিয়েছি। এ রকম জনসমাবেশ রংপুরে আগে দেখিনি।’
সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন— এ টি এম আজহারুল ইসলাম, আশরাফ আলী আকন্দ, মুফতি মোখলেছুর রহমান কাসেমী, মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, আনোয়ারুল ইসলামসহ ৮ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ৮ দলের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর ৮০০+ ভলান্টিয়ার দায়িত্ব পালন করছে।
৮ দলের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
-
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত
-
নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন
-
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন
-
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি
-
জুলাই গণহত্যার বিচার
-
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ
বিশ্লেষকদের মতে, এই সমাবেশ ৮ দলের আন্দোলনের “বিভাগীয় পর্যায়ে শক্তিশালী সম্প্রসারণ” এবং জনসমর্থনের গুরুত্বপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ।