কলেজছাত্রের হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় বাস জব্দ, চালক শনাক্ত
৩০ জুন ২০১৯ ১৮:৪২
রাজশাহী: বাসযাত্রী রাজশাহী কলেজের ছাত্র ফিরোজ সরদারের (২৫) ডান হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় ‘মোহাম্মদ পরিবহন’ নামের বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে মহানগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস রোববার (৩০ জুন) সকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘কলেজছাত্র ফিরোজ পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি যে বাসের যাত্রী ছিলেন তার ইংরেজি নামের প্রথম দুই অক্ষর ‘এম এবং ও’। এই ‘ক্লু’ কাজে লাগিয়ে গাড়িটিকে জব্দ করা হয়। রাজশাহী-রংপুর রুটে চলাচলকারী এই বাসটি মহানগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনালে থাকার কথা। কিন্তু সেটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল শিরোইল বাস টার্মিনালে। তবে বাসটির চালক ও মালিক পলাতক রয়েছেন। চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র জানান, শনিবার (২৯ জুন) রাতে ফিরোজ যে গাড়ির যাত্রী ছিলেন সেই গাড়ির চালককে আসামি করে কাটাখালি থানায় মামলা হয়েছে। ফিরোজের বাবা মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তখন পর্যন্ত গাড়িটি শনাক্ত না হওয়ায় মামলায় আসামিদের অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে হাতের কব্জি হারালেন কলেজছাত্র
কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার একটি ফুটেজ দেখে মোহাম্মদ পরিবহনের চালককেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম মোহাম্মদ ফারুক। বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ায়। এ চালককে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করা গেলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।’
আহত ফিরোজ সরদার রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভার নামোইটগ্রাম মহল্লায় তার বাড়ি। শুক্রবার (২৮ জুন) তিনি মোহাম্মদ পরিবহনের ওই বাসে রাজশাহী ফিরছিলেন।
তার ভাষ্যমতে, তিনি বাসের একেবারে শেষের সিটে বসে ছিলেন। আর ডান হাতে জানালার ভেতর দিয়েই সামনের সিট ধরে ছিলেন। ওই সময় বাসটি চলছিল খুব বেপরোয়া গতিতে। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে তার হাত সিট থেকে আলাদা হয়ে জানালার বাইরে চলে যায়। তখনই বিকট শব্দে পাশের গাড়ির সঙ্গে বাসটি ধাক্কা খায়। এতে চাপা পড়ে তার ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে কাটা পড়ে। তবে সেই সময় ফিরোজসহ কেউই পাশের গাড়িটিকে চিনতে পারেননি। সেটি ট্রাক নাকি বাস তাও জানেন না কেউ। তবে এখন সেটি শনাক্ত করা সম্ভব বলে মনে করছে পুলিশ।
সারাবাংলা/একে