চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘ধর্ম নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হতে পারে না, এতে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ তৈরি হয়। এই প্রতিযোগিতা মানবজাতির শুধুই ধ্বংসই ডেকে আনতে পারে।’
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ‘রিলিজিয়নস ফর পিস বাংলাদেশের (আরএফপি)’ আয়োজনে ‘চট্টগ্রাম পিস সামিটে’ মেয়র এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পৃথিবীতে সকল ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে। তাই প্রতিটি বড় বড় জনগোষ্ঠির চর্চিত ধর্মে শান্তির বাণীই প্রচার করা হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্ত:ধর্মীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিকল্প কোনো পন্থা নেই।’
চিটাগং ক্লাবের তেরেস হলে অনুষ্ঠিত এই পিস সামিট হয়েছে ‘এশিয়ান কনফারেন্স অব রিলিজিয়নস ফর পিস’র সহযোগিতায়।
আরএফপি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিস সামিটে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আরএফপির নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
প্রবন্ধে কামরুল আহসান উল্লেখ করেন, পৃথিবীতে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে হলে পারস্পরিক আস্থা ও সুসম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। প্রতিটি ধর্মীয় নেতাদের পরমত সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে। আন্ত:ধর্মীয় সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হলে যুবসমাজকে সঠিক ধর্মীয় মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘সর্বধর্মীয় মনোভাবাপন্ন পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে সর্বাগ্রে। তা নাহলে পৃথিবীর দেশে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আরএফপি এশিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল রেভারেন্ট প্রফেসর ড. ইয়োশিনরি সিনোহরা, বিশেষ উপদেষ্টা রেভারেন্ট ড. নবোহিরো নেমতো, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের ডিন প্রফেসর ড. জন ম্যাথিও, আরএফপি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ড. মাছুম আহমেদ, ঢাকার প্রেসিডেন্ট সুকোমল বড়ুয়া এবং সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনে মতামত তুলে ধরেন, অধ্যাপক ড. রাশেদা খানম, অধ্যাপক ড. এনএইচএম আবু বকর, বৌদ্ধধর্মীয় নেতা সংঘপ্রিয় মহাথেরো, অধ্যাপক ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, শিক্ষক এনা সামস্যাং, চিত্রশিল্পী জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক সুভাস দে, তাপস হোড়, নাট্যজন স্বপন মজুমদার, বিদ্যুৎ কান্ত নাথ, বিশ্বজিৎ বড়ুয়া।