ঢাকা: থানায় ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় সাইবার ক্রাইম হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আর এই সাইবার ক্রাইম করেছেন সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, বর্তমানে প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন।
পিবিআই জানিয়েছে, সাইবার ক্রাইম সংগঠনের দায়ে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আগামী ২৭ মে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির সদর দফতরে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পিবিআইয়ের প্রধান বলেন, ‘সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জম হোসেনের বিরুদ্ধে নুসরাতের জবানবন্দি মোবাইলে রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই। খুব শিগগিরই আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ওসি শুধু মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডই করেননি বরং তাকে নানাভাবে নুসরাতকে হেনস্থার চেষ্টা করেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।’
এরইমধ্যে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ্কই ঘটনায় ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারকেও প্রত্যাহার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত ৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শামীম, জোবায়ের, জাবেদ, মণি ও পপি।
আগুনে গুরুতর দগ্ধ হলে নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। তদন্তে বের হয়ে আসে ঘটনার মূল রহস্য।
মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার নির্দেশে নুসরাতকে হত্যা করা হয় বলে আসামিরা আদালতে জবানবন্দিতে জানান।
সারাবাংলা/ইউজে/একে
আরও পড়ুন