ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যবসায়ী!
৩১ মে ২০১৯ ২১:১১
ঢাবি: গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) তে অংশগ্রহণ করেছিল এক প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁস মামলার যে ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে এতে তার নাম রয়েছে। সেই প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যবসায়ী হলেন বেলাল হোসেন বাপ্পী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে।
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালায় সিআইডি মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার হয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী রাফিকে। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলায় চক্রের প্রধানসহ ৪৭ জন গ্রেপ্তার হয়। এদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, প্রশ্নফাঁস মামলায় গ্রেফতারকৃত অন্তত ৪-৫ জন পৃথকভাবে বেলাল হোসেন বাপ্পীকে অন্যতম প্রশ্নপত্র ফাঁস ব্যবসায়ী বলে সিআইডির কাছে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছে। সিআইডি বেলাল হোসেন বাপ্পীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। বাপ্পী দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্নপত্রফাঁস এবং ডিজিটাল জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে চার্জশিটভুক্ত ১২৫ আসামির মধ্যে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। স্বতন্ত্রভাবে সদস্য পদে নির্বাচন করে ২১৯০ ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বাপ্পী এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, ‘নাম দেখে তো আমি অবাক। গণমাধ্যমে বহুবার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের নাম এসেছে কিন্তু আমার নাম আসেনি।’
তবে সিআইডির নোটিশ তার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিল বলে স্বীকার করেন বেলাল হোসেন বাপ্পী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, চার্জশিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ জন শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। আগেই আমরা ১৫ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছি। সিআইডির প্রতিবেদন হাতে আসার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/কেকে/একে